

তীব্র বিতর্কের মুখে অবশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করেছেন। অাজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিবের নিকট পদত্যাগ জমা দেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন অনিয়ম অার দূর্নীতির কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন ডা. আবুল কালাম আজাদ।
অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক অবসরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ । স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ জাহিদ মালিকের উদ্যোগে তাকে আবার দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।
কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার পরই তার বিরুদ্ধে চরম দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা শৈথিল্য, পক্ষপাত এবং নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
বিশেষ করে করোনা সংক্রমণের শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সীমাহীন দায়িত্বহীনতা স্পষ্ট হতে থাকে। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছিল। কিন্তু একের পর এক ব্যর্থতা দুর্নীতির অভিযোগ এবং নানা রকম অপকর্মের দায়ভার মাথায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।