আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কর্মীবান্ধব নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে চরিত্রহননের নোংরা ষড়যন্ত্র

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি:জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মীবান্ধব নেতাদের বিরুদ্ধে অতীতেও ষড়যন্ত্র ছিলো বর্তমানেও অব্যাহত আছে।
জনগণের নেতা, শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত পরীক্ষীত সৈনিক বিএম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তিদের ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও যোগ্যতা দিয়ে সবকিছু ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সারথি,দীর্ঘ রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী বিএম মোজাম্মেল হক।

বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে সংগঠন কে তৃণমূলে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখায় তিনি চতুর্থ বারের মত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।বর্তমানে খুলনা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক নেতা হিসেবে কাজ করছেন।

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারঃ
ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে জাতীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যখন নেত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেন তখন তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রায়ত রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধেয় জিল্লুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রায়ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সমস্ত রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন।

২০০৯ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় কাউন্সিলে ৩য় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দক্ষতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন ।

১৯৯২ সালে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পরে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে কো- অপশন করা হয়।

২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত উক্ত পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপি -জামাত জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনে জেল-জুলুম উপেক্ষা করে সক্রিয় ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড বিএম মোজাম্মেল হক একদিনে তৈরি হননি। তাঁর রয়েছে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার।

ছাত্রলীগের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার:
তিনি কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক,লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।পরে ১৯৮৯-৯২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ার মুখরোচক ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএম মোজাম্মেল হক ও তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
নেতাকর্মীরা সোসাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,মিথ্যা ক্ষনস্থায়ী সত্য চিরন্তন। জনতায় রুখে দিবে চরিত্রহননের মিথ্যা ষড়যন্ত্র।বিএম মোজাম্মেল হকের মত জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ও কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব টিকে থাকবেন সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে।

পোস্টটি শেয়ার করুন