আরএমপির এক পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আরএমপি পুলিশের এক পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই পুলিশ সদস্য রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া রাতৈল গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন আরোফে রতন। তিনি আরএমপি পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাংঙ্গা আলীগঞ্জ উত্তরপাড়ার সামশুল হকের ছেলে সাজিউল হাসান এক সময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলে পুলিশ সদস্য মোজাফফর হোসেন রতন। মোজাফফরের স্ত্রীও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। পুলিশ সদস্য মোজাফফর ২০২০ সালের শেষের দিকে সাজিউলের কাছে একদিন বলে, সাজিউল বন্ধু আমি ও তোর ভাবি মিলে রাজশাহী শহরে একটি জায়গা কিনে বাড়ি বানানোর জন্য জায়গা কিনতে আমার প্রায় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা লাগবে। আমাদের ২০ লাখ টাকার মতো আছে। আর পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। তুই যেখান থেকে পারিস সংগ্রহ করে দে আমাকে। আমি জিপিএফ থেকে লোন তুলে এবং তোর ভাবীর ব্যাংক একাউন্ট থেকে উক্ত টাকা পরিশোধ করব।

সাজিউল তার কথা বিশ্বাস করে পুলিশ সদস্য মোজাফফরকে লিলি হল মোড়ে তার দুই থেকে তিন জন বন্ধুর উপস্থিতিতে তাকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করে। মোজাফফর টাকা গ্রহণের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও উক্ত টাকা দিতে গড়িমসি করলে আমি তাকে চাপ দেই, তখন সে আমাকে বিশ্বাস জন্মানোর জন্য তার নামে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড লক্ষ্মীপুর শাখা রাজশাহীর একটি ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। উক্ত চেকের সঞ্চয়ী হিসাব নং -৫৪৭৯ এবং চেক নং -৩০১৯০৩৪। পরবর্তীতে ব্যাংকে চেকটি ভাঙাতে গেলে সেখানে কোন টাকা নাই মর্মে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়। পরে চেকটি ডিজেইনার করে গত ২৩ মার্চ ২০২১ সালে রাজশাহী জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট হিমেল হোসনাইন সোহাগের মাধ্যমে পুলিশ সদস্য মোজাফফরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাওয়ার পরে টাকা ফেরত না দিয়ে মোজাফফর বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে হয়রানির চেস্টা করছে বলে অভিযোগ করেন সাজিউল হাসান।

ভুক্তভোগী সাজিউল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্য মোজাফফর আমার সাথে জালিয়াতি করেছে। আমি তাকে বন্ধু হিসেবে ভেবে তার চাকরির ক্ষতির কথা চিন্তা করে আদালতে মামলা না করে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিচ্ছে। কিন্তুু টাকা দিতে বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা করছে। তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পরে সে বিভিন্ন ভাবে আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। টাকা না দিলে আদালতে মামলা করা ছাড়া আমার কোন উপায় নেই।

তিনি আরো বলেন, এ বিষয় আরএমপি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা খুব জরুরী। সে পুলিশ বাহীনির মতো একটি মহান বাহীনিতে চাকরি করে আমার সাতে প্রতারণা ও জালিয়াতি করেছে খুব কষ্টের বিষয়। এ বিষয় তার চাকরির কথা চিন্তা করে মামলা দায়ের করার আগে পুলিশ কমিশনার স্যার বরাবর একটি অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুুতি নিয়েছি। আশা করি মাননীয় কমিশনার স্যারের সহায়তায় একটা সমাধান হবে ইনসাল্লা।

এ বিষয় আরএমপি পুলিশ সদস্য মোজাফফর হোসেনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হবে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করে বলেন, সাজিউলকে আমার ৫ লাখ টাকার চেক দেয়া আছে। টাকা সে পাবে তাকে টাকা দিয়ে দিবো। কিন্তুু এখন দিতে পারবো না। আমার পুলিশের চাকরি চলে গেলেও এখন টাকা দিতে পারবো না বলে জানান তিনি। তবে কবে টাকা দিবেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোন কেটে দেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন