আ’লীগের পুনরায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হলেন খায়রুজ্জামান লিটন

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সন্তান এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলটির জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলদের ভোটে পাস হওয়ার পর আলাদাভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। পরে বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন দশমবারের মতো নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন; বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শ্রী পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও সিমিন হোসেন রিমি।

উল্লেখ্য; এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৮৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সালের ৯ মে পর্যন্ত মেয়র ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট পুনরায় মেয়র নির্বাচন করে জয় লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই কমিটিতে সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে অন্তৰ্ভুক্ত হন।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের পিতা জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা এবং মাতা জাহানারা বেগম। এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনা বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে খায়রুজ্জামান লিটন চতুর্থ ও ভাইদের মধ্যে জ্যৈষ্ঠ। তাঁর দাদা আবদুল হামিদ রাজশাহী অঞ্চলে মুসলিম লীগের সভাপতি ও পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল হামিদের পিতা হাজী লাল মোহাম্মদ ছিলেন পূর্ববঙ্গ লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (এমএলসি) এর দুই মেয়াদের সদস্য। তিনি রাজশাহী এসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমির একমাত্র মুসলিম সদস্য।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৫৯ সালের ১৪ আগস্ট রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন ১৯৭৬ সালে। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৭৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন খায়রুজ্জামান লিটন। আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৮৫ সালে তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন।

পোস্টটি শেয়ার করুন