ট্রিবিউন ডেস্ক: ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তজনায় সেখানে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়া ও ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান তিনি।
এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন হলে আটকে পড়া আমেরিকানদের উদ্ধারে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই তার প্রশাসনের।
এসময় ইউক্রেন ইস্যুতে ঐ অঞ্চলের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, যেকোনো সময় পরিস্থিতি বিপজ্জনক মোড় নিতে পারে।
সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, এমন নয় যে, আমরা কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সামাল দিচ্ছি। আমরা বিশ্বের অন্যতম বড় সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করছি। খুবই কঠিন পরিস্থিতি আর সবকিছু দ্রুত বদলে যেতে পারে।
এদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার ৯ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। তবে দুই পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছে।
ইউক্রেনে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের চিন্তা করাই মারাত্মক জটিল বিষয়ক, কারণ রাশিয়া দেশটিতে অভিযান চালালে বহু মানুষ যেমন মারা যেতে তেমন পালাতে হতে পারে আরো অনেককে। এর অর্থনৈতিক মূল্য হতে পারে ভয়াবহ এবং মানবিক পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে বিপর্যয়কর।
এখনো ইউক্রেনকে ঘিরে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া, আর পশ্চিমারা বলছে রাশিয়া সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করলে করুণ পরিণতি হবে।
কূটনীতিকরা এমন একটি পথের কথা বলছেন যাতে করে যুদ্ধের পথ এড়ানো যায়, কিন্তু সেই পথ আসলে খুঁজে পাওয়া খুব একটা সহজও নয়।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার আলাদাভাবে এক সতর্কতা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের কোথাও রাশিয়া সামরিক পদক্ষেপ নিলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সক্ষম হবে না। এতে বলা হয়, দেশটি ছাড়তে চাওয়া মার্কিন নাগরিকদের জন্য দূতাবাস সেবা দেওয়া ‘মারাত্মকভাবে প্রভাবিত’ হতে পারে।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরে ইউক্রেনের নৌ চলাচলের পথ বন্ধ করে রাখার অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ। আগামী সপ্তাহে ওই দুই সাগরে রাশিয়ার নৌ মহড়াকে সামনে রেখে এমন অভিযোগ উঠল।
-ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি