ট্রিবিউন ডেস্ক: প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, ‘ইউরোপ বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার এবং প্রতিনিয়তই কর্মী গমনের হার বাড়ছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে যেমন—ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশী কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বোয়েসেলের মাধ্যমে রোমানিয়াগামী কর্মীদের বিদায় উপলক্ষে ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় যাচ্ছেন ৩০ জন। ২১ ও ২২ ডিসেম্বর দুই ধাপে ১৫ জন করে এসব কর্মী দেশটির উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হবেন।
অনুষ্ঠানে বোয়েসেল জানায়, রোমানিয়ার সুমনা স্পোর্টসওয়্যার, ইউরোপা ফ্যাশনস লিমিটেড এবং সংস্থাটির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে এসব কর্মী দেশটিতে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৩১২ জন কর্মীর চাহিদাপত্র পেয়েছে বোয়েসেল। এদের মধ্যে ১০২ কর্মীর ভিসা পাওয়া গেছে এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) স্মার্ট কার্ড শেষ করা হয়েছে। বাকিদের ভিসা প্রক্রিয়াধীন। বোয়েসেল বলছে, দুই বছর মেয়াদে এসব কর্মী রোমানিয়ায় সুইং মেশিন অপারেট, কাটিং অপারেটর, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পদ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৪০০ থেকে ৫০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাদের আবাসন, খাবার, চিকিৎসা খরচ কোম্পানি বহন করবে। চাকরির মেয়াদ দুই বছর হলেও কর্মীরা চুক্তি নবায়ন করতে পারবেন।
প্রাক-বহির্গমন ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, কর্মীদের বিমান ভাড়া, ইউরোপা ফ্যাশনের সার্ভিস চার্জ, বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ তথা ভারত থেকে ভিসার ব্যবস্থাসহ মোট খরচ পড়বে ২ লাখ ৩১ হাজার ২৪০ টাকা। এসব খরচ কর্মীকে বহন করতে হবে। কর্মীপ্রতি জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা বোয়েসেলে জমা থাকবে এবং শ্রম চুক্তি শেষে কর্মীরা জামানত ফেরত পাবেন। এছাড়া ইউরোপা ফ্যাশন লিমিটেড তাদের সার্ভিস চার্জের শতকরা ১০ ভাগে বোয়েসেলে জামানত রাখবে এবং কর্মীর চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর তা ফেরত পাবে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘বোয়েসেলের মাধ্যমে রোমানিয়াসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীদেরও দেশের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ ও কাজে মনোযোগী হয়ে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে রোমানিয়া যেতে কর্মীদের যে খরচ ধরা হয়েছে, তা আরো কীভাবে কমানো যায়—এটা দেখার জন্য বোয়েসেলসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।