

ট্রিবিউন ডেস্ক: বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন পথে চলাচল করা ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ৩০৭টি বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির চালু করা এই ব্যবস্থার অবস্থা অনেকটাই বেহাল। তাই টিকিটের এই পদ্ধতি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে মালিক সমিতির একটি প্রতিনিধিদল। সেই সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
গতকাল রবিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত-৮ পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল।
এ সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস না থাকাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে দুটি বাসের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। মামলার বিপরীতে ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আর বাকিদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাসের মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। ই-টিকেটিং বিষয়ে স্টপেজ জটিলতা আছে। এ ছাড়া অনেক সময় কন্ডাক্টররা টিকিট দিতে চান না বলেও যাত্রীরা অভিযোগ করে।
অভিযোগের জবাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মচাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘টিকিট ছাড়া কেউ ভাড়া দেবেন না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ করা। প্রয়োজনে ওই পরিবহন কম্পানির এমডিকে (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) কল করে বিষয়টি জানাবেন।’
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমরা কিছু বাসে অভিযোগ পাচ্ছি। সেই বাস মালিকদের ডেকে কথা বলছি। অনেক দিন পর এই সিস্টেমটা চালু করা হয়েছে, তাই স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। মালিক পরিবহন সমিতির টিম কাজ করছে, আমি নিজে মাঠে থেকে কাজ করছি। এই পদ্ধতি ঠিক করতে রাস্তায় ওপেন ১৯ জন চেকার কাজ করছেন। এখানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’