বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার:‘উগ্র সাম্প্রদায়িকতা এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি জামাতের নাশকতা, জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের’ প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা যদি মাঠে নামি তাহলে আপনারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগও পাবেন না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আবার ধৃষ্টতা দেখালে, তাহলে কিন্তু আমরা দাঁতভাঙা জবাব দেব। আজকে সারা দেশ পাঁচ মিনিটে অচল করে দেওয়ার ক্ষমতা ছাত্রলীগের আছে।’
জয় বলেন, ‘জাতির পিতাকে নিয়ে দেশবিরোধী কুচক্রি মহল, যারা পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। তারা আবার ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করেন। এ রকম একটি নষ্টভ্রষ্ট, যে কিনা জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলে। এসময় মামনুল হককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা বুড়িগঙ্গার ধারে আইসেন, সব কটাকে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হবে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িকতার বীজ এই দেশে ছড়িয়ে দিতে চায়, তারা দেশদ্রোহীতার শামিল বলে বিবেচিত হবে। ভুলে গেলে চলবে না, এদেশে দেশদ্রোহীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো হয়েছে। এ সময় তিনি মামুনুল হকদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি দেন।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাংলা মায়ের কোলে আমরা যেমন শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে হয়ে থাকতে জানি, ঠিক একরকমভাবে মৌলবাদ প্রতিরোধ আকাশ বজ্র হয়ে ঝরতে জানি। চারটি মূলনীতি শুধু ছাত্রলীগের একার নয়।
দেশের প্রত্যেকটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন এবং শিক্ষার্থীর হৃদয়ের গভীরতম বিশ্বাস থেকে মুক্তিযুদ্ধের উৎসারিত নীতি এসেছে। এ চার নীতি নিয়ে যারা চিনিমিনি করতে চায়, দেশের ছাত্রসমাজ তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সহ মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
