রাবি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এছাড়া আহতদের সুস্থতা কামনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রতি তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দাবির বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত বা, নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন প্রশাসন সম্পর্কে সরকারি সিদ্ধান্ত বা, নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহে শিক্ষার্থী ওঠার ব্যাপারে ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম অতি শিগগরই শুরু করা হবে। তবে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষসমূহ মেরামতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে। শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের জন্য তাদের বৈধতা সংক্রান্ত বিধিবিধান অনুসরণ করা হবে।
হলের আবাসিকতার বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হলে আসন বরাদ্দবিহীন, মেয়দোত্তীর্ণ, অথবা কোনো কারনে ছাত্রত্ব নেই, স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করেছে, অথবা স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) পাস করেছে, কিন্তু নিয়মিত ব্যাচের সাথে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হননি এমন শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করতে পারবে না। এসব শিক্ষার্থীর কোনো জিনিসপত্র হলে থাকলে হলের বাকী পাওনা (যদি থাকে) পরিশোধ করে কর্তৃপক্ষ ঘোষিত নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সংগ্রহ করতে হবে। অন্যথায় সেসব জিনিসপত্র কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিবে। এজন্য কর্তৃপক্ষের কোনো দায় থাকবেনা। আবাসিক শিক্ষার্থীরা রাবি ওয়েবসাইটে তাদের নিজ নিজ ড্যাসবোর্ডে নির্ধারিত ফরম পূরণ করবে। হলে ওঠার দিন পূরণ করা ঐ ফরমের প্রিন্ট কপি, হলের হালনাগাদ আইডি কার্ড, অথবা ভর্তির হালনাগাদ পে-স্লিপ ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হলের নির্ধারিত ফি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়ে হলে ওঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আন্দোলন চলাকালে নিজেদের উদ্যোগের বিষয় উল্লেখ ও সহায়তাকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে রাবি ক্যাম্পাসে বড় ধরনের সংঘাত যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আন্দোলন চলাকালে রাবির যেসব নিরপরাধ শিক্ষার্থী আটক, বা অহেতুক হয়রানির শিকার হয় তাদের সহায়তার জন্য দুইজন সহকারী প্রক্টর সমন্বয়ে একটি সহায়তা সেল গঠন করা হয়। তাদের তৎপরতায় শিক্ষার্থীরা দ্রুত মুক্তি পায়। এক্ষেত্রে যেসব শিক্ষক সহযোগিতা প্রদান করেন কর্তৃপক্ষ তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এখনো যদি কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী আটক, বা অহেতুক হয়রানির শিকার হয় বা কোনো সহায়তার প্রয়োজন মনে করে তবে, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন ও ড. রতন কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরার্মশ দেয়া যাচ্ছে।