ক্লিন ও গ্রিন সিটি রাজশাহীর প্রশংসায় চীনা রাষ্ট্রদূত ; বললেন রাজশাহীর বানিজ্যিক উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজয়হী সফরে এসে রাজশাহী শহরের সবুজ ও পরিচ্ছন্নতার ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, রাজশাহীতে খুব স্বল্প সময়ের জন্য সফরে এসেছি। এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী নগরী ঘুরে আমি মুগ্ধ হয়েছি। রাজশাহী গ্রিন এবং ক্লিন সিটি। এই শহরের খুব উজ্জল ভবিষ্যত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠকে রাজশাহী নগরীর প্রশংসা ও বানিজ্যিক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্তিত ইপিজেডে চায়নার ৫টি কোম্পানি কাজ করছে। এছাড়া আরও ৬টি কোম্পানি আসছে। আরও কোম্পানি বাংলাদেশের এই অংশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো পরিবেশ থাকায় আমরা আগ্রহী হচ্ছি। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে চায়না সরকারের অবদান ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। উভয় দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।

এরআগে চীনের রাষ্ট্রদূতের আগমনে নগর ভবনের প্রধান ফটকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্ণাঢ্য আয়োজনে চীনের রাষ্ট্রদূতকে বরণ করে নেওয়া হয়।

রাসিক মেয়রের সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চায়নার সাথে সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। স্বাক্ষরিত সেই চুক্তিতে পদ্মা নদীর পানি পাম্প করে গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভা এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। সেটার বিষয়ে সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে। সবশেষ একটা স্বাক্ষর হলেই চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক প্রথম কিস্তিটি ছাড় করবে বলে সাংবাদিকদের জানান রাসিক মেয়র।

এছাড়া রাজশাহী মহানগরীর সলিড বর্জ্য টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ্বালানী ও জৈবসার তৈরি করার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূতকে প্রস্তাবনা দেন রাসিক মেয়র। এতে চীন সরকার ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে শহরের যত বর্জ্য পানি ট্রিটমেন্ট করে কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এ বিষয়েও চীনা রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবনা চেয়েছেন।

এছাড়াও বন্ধ জুুটমিল, সুগারমিল টেক্সটাইল মিল ইজারাভিত্তিক নিয়ে চালু করতে চায়না সরকার প্রস্তুত বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূতকে আম আকৃতির শুভেচ্ছা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেন রাসিক মেয়র। এ সময় রাসিক মেয়রকেও উপহার দেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

পোস্টটি শেয়ার করুন