গভীররাতে রামেক ছাত্রলীগ সেক্রেটারির রুমে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের হামলা ভাংচুর


নিজস্ব প্রতিবেদক: গভীররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুন্নবী ছাত্রাবাসের ৩০৬ নাম্বার রুমে হামলা ও ভাংচুর চালায় রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
ঐরুমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ডা:নাজমুস সালেহ রাব্বি থাকেন।
সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার সময় এই অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ তাজওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ও যুগ্ম-সম্পাদক চার্লির নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিতে দিতে সাধারন সম্পাদক রাব্বির রুমে অতর্কিত হামলা চালায়, ভাংচুর করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে! উক্ত ঘটনা থানায় জানানো হলে,পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন!
রামেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাব্বির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমার বাবার অসুস্থ্যতার কারনে গত কয়েকদিন আগে আমি বাসায় চলে আসি! হঠাৎ আজ রাত দুইটার দিকে এক ছোট ভাই ফোন করে জানায়, কি যেন অজানা কারনে তাজওয়ার,ইমরান, চার্লি কিছু জুনিয়র সাথে নিয়ে আমার রুমে হামলা চালায়, ভাংচুর করে ও আমার নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
তিনি বলেন,কিছুদিন আগে মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে আমরা নুরুন্নবী হোস্টেল দখল করি। ছাত্রশিবিরের উসকানিতে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে! সেই সাথে এমন নেক্কারজনক ঘটনার কারনে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, সঠিক তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি ও সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। ক্যাম্পাস ভালই চলছিল। আমরা গ্রুপিং এর উর্ধে্ব থেকে পড়াশোনার সঠিক পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এমন শান্ত ক্যাম্পাসকে অশান্ত করতে তাজওয়ার ,এমরান ও চার্লি এই তিনজন অনুপ্রবেশকারীর নেতৃ্ত্বে এই হামলার পিছনের শক্তিকে খুঁজে বের করতে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে কলেজ প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।