ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা, দাবি শিক্ষা কর্মকর্তার

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১:০১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা দপ্তরে এমপিওর নামে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ও একটি অডিও ফাঁসের ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদ সরবরাহ করা তথ্য সত্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংবাদে প্রকাশিত তথ্যগুলোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (কলেজ) প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান শাহ। এতে তিনি দাবি করেন প্রকাশিত সংবাদে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

গত ১১ অক্টোবর সরকারি অনুমোদিত অনলাইন পত্রিকা পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম এ ‘রাজশাহীর শিক্ষা দপ্তরের ডিডির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ, অডিও ফাঁস’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

শুক্রবার পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান শাহ দাবি করেন, কলেজ শিক্ষকদের এমপিও আবেদন ফাইল সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ তাঁর আইডি থেকে সরাসরি প্রফেসর আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. কামাল হোসেন এর আইডিতে প্রেরণ করেন। এরপর আঞ্চলিক পরিচালক সহকারী পরিচালক (কলেজ) ড. আবু রেজা আজাদ এর নিকট প্রেরণ করেন। সহকারী পরিচালক (কলেজ) প্রথমে ফাইলগুলো যাচাই-বাছাই করে মন্তব্য দিয়ে আমার নিকট প্রেরণ করেন।

মাহবুবুর রহমান শাহ বলেন, উপ-পরিচালক (কলেজ) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফাইলগুলো যাচাই-বাছাই করে মন্তব্যসহ পরিচালকের আইডিতে প্রেরণ করেন। এরপর পরিচালক এই সমস্ত এমপিও আবেদন ফাইলগুলো চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য সিদ্ধান্ত নেন। এমপিও ফাইলগুলো চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য একমাত্র পরিচালক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। এক্ষেত্রে আমার কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই। ফলে এমপিও আবেদনের জন্য শিক্ষকদের নিকট থেকে ঘুষ আদায় করার তথ্য অসত্য। আমার যেহেতু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই তাই ঘুষ গ্রহণের কোনো প্রশ্নই উঠে না।

তিনি আরও বলেন, প্রকাশিত সংবাদে কলেজ শিক্ষক কর্মচারীদের ফাইল আটকিয়ে ঘুষ বাণিজ্য, কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আদায় এবং অর্থের বিনিময়ে ক্রুটিপূর্ণ আবেদনও অনুমোদনের জন্য পরিচালককে চাপ প্রয়োগ করেন এ তথ্যও সত্য নায়। আমি কখনো কোন ফাইল আটকে রাখিনা, ঘুষ গ্রহণও করিনা। সুতরাং পরিচালককে চাপ প্রয়োগের কোন প্রশ্নই আসেনা। কাজের অংশ হিসেবে আমি সবসময় চেষ্টা করি দ্রুততার সাথে কাজ শেষ করার জন্য।

এছাড়াও আমার সহযোগী হিসেবে আমার সহকর্মী সহকারী পরিচালক আব্দুর রহিম, সহকারী পরিদর্শক আসমত আলী, গবেষণা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র প্রামাণিক এবং গবেষণা কর্মকর্তা সিরাজুল হক সরকারের নামে সেসব তথ্য দেয়া হয়েছে সেগুলোও সত্য নয় বলে দাবি করেন প্রফেসর মাহবুবুর রহমান শাহ।

পোস্টটি শেয়ার করুন