

ডেস্ক নিউজঃ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান খালেদ আলী মিঞা ছিলেন একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ। যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে অজানা।
তিনি ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন।এরপর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী হয়ে রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৩২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাধীন বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইউনুস আলী এবং মাতার নাম রাবেয়া বেগম। খালেদ আলী মিঞা ৩ ভাই এর মধ্যে সবচাইতে বড়। আরো দুই ভাই হলেন হুমায়ুন চেয়ারম্যান এবং মর্তুজা।
বরেণ্য রাজনীতিবিদ খালেদ আলী মিঞা মালদহ জেলা স্কুল, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।ইতিহাসে এমএ(সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ছাত্র অবস্থায় ভাষা আন্দোলন পরে ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেন।
বরেন্দ্র অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে গোমস্তাপুর উপজেলার বড়দাদ পরে খালেদ আলী মিঞা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার বাবার নামে বাঙ্গাবাড়ী ইউনুস আলী স্কুল এন্ড কলেজ ও মায়ের নামে রহনপুর রাবেয়া বালিকা উচ্চ প্রতিষ্ঠিত করে অত্র অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন।তিনি রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন।
এছাড়া তিনি রহনপুর এবি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজের খন্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন।
বরেণ্য এই রাজনীতিবিদ ১৯৮১ সালে ২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।