আবুল কালাম আজাদ: জীবন ধ্বংস করার খাত আউটসোর্সিং বাতিল,চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রেলের অস্থায়ী শ্রমিকেরা যেকোন মুহুর্তে কঠোর আন্দোলনে নামছে বলে জানা গেছ।
সূত্র জানায়,তাদের পিঠ ঠেকে গেছে।রেল কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বর ২২ হয়ে তাদের।চাকুরী শেষ।কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা বা ধর্মঘট করে দাবি আদায়ের সময় নাই। এখন সরাসরি এ্যাকসন।
তারা বলছেন, চাকরী স্থায়ী না হয়ে মৃত্যুই সমাধান আন্দোলনে নামছেন ।
এর পূর্বে তারা দফায় দফায় চাকরি স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল এবং নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে যোগদানে শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ বহাল রাখার দাবিতে তারা মানববন্ধন করেন।কতৃপক্ষ তাদের আকূতু মিনতিতে সাড়া দেননি।
তাদের দাবি ছিলো, বাংলাদেশ রেলওয়ের জনবল সংকট নতুন কথা নয়। জনবল পূরণে শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি শূন্য পদের বিপরীতে এতদিন অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন এই অস্থায়ী নিয়োগের শ্রমিকরা। বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মরত শ্রমিকদের পদগুলো হচ্ছে-মেকানিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং (গেট কিপার, ওয়েম্যান, লোকো খালাসী, ক্যারেজ খালাসী) সিগন্যালিং ইলেকট্রিক্যাল ও ট্রান্সপোর্টেশন (গেট কিপার, পোর্টার, পয়েন্টসম্যান) ইত্যাদি।
আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা বলেন, এখানে দারোয়ান ও রেলের ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পদে অস্থায়ীভাবে মোট সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। আমাদের মধ্যে অনেকের চাকরির বয়স ৩ থেকে ১০ বছর। বর্তমানে আমাদের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অন্য কোথাও চাকরি করার বয়স নেই।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কখনো আউটসোর্সিং খাত ছিল না। বর্তমানে আমাদের অস্থায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করার জন্য এটা চালু করা হয়েছে। যা আমাদের জীবন ধ্বংস করার খাত বলে বিবেচিত। আমরা এই আউটসোর্সিং প্রথা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
তরা বলেন, তাদের চাকুরী স্থায়ী করন করে, আউট সোর্সিং বাতিল করা না হলে রেলের চাকা বন্ধ করে দেয়া হবে। হয়ে চাকরী স্থায়ী না হয়ে মৃত্যুই সমাধান আন্দোলন এবার।