

চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী আজ
করোনার কারণে এবার সীমিত পরিসরে জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে বিশ্ববরেণ্য এই চিত্রশিল্পীর।
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী আজ। প্রতিবছর দিনটি উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন থাকলেও এবার করোনার কারণে সীমিত পরিসরে জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে।
শিল্পীর জন্মস্থান নড়াইলে দোয়া মাহফিল, শিল্পীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলির পাশাপাশি অনলাইনে শিশুদের ছবি আঁকার আয়োজন করা হয়েছে। ১৯২৪ সালের ১০ই আগস্ট শহরতলির মাছিমদিয়ায় রাজমিস্ত্রি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার ছবিতে প্রাধান্য পেয়েছে গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজ।
ছোটবেলায় শিল্পী সুলতানের নাম ছিল ‘লাল মিঞা’। চার-পাঁচ বছর বয়স থেকেই তার মধ্যে ছিল ছবি আঁকার প্রবল ঝোঁক। সে বয়সে পুইয়ের পাকা ফলের রঙ আর কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ছবি আঁকতেন তিনি। মাত্র ১১ বছর বয়সে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি প্রতিকৃতি এঁকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নড়াইলের জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায় তার আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হন। ১৯৪৭ সালে ভারতের সিমলায় তার প্রথম একক চিত্রপ্রদর্শনী হয়। ১৯৫১ সালে নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন সুলতান। ১৯৫৫ সালে সবার অলক্ষ্যে করাচি থেকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন।
১৯৬৯ সালের ১০ জুলাই ‘দি ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্বোধন করেন যশোরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইনাম আহম্মদ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে স্থাপন করেন ‘শিশুস্বর্গ’। অবশ্য অনেক আগেই স্বপ্নের শিশুস্বর্গ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন এসএম সুলতান।
চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে ‘একুশে পদক’, ১৯৮৪ সালে ‘রেসিডেন্ট আর্টিস্ট’ ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা’ এবং ১৯৯৩ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছেন।
এছাড়াও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৪ সালের ১০ই অক্টোবর শিল্পীর মৃত্যুর পর বাসভবন ও সমাধিস্থলকে ঘিরে নির্মাণ করা হয় সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা।