রাজশাহীতে ছাত্রলীগ সভাপতির মুক্তির দাবিতে জেলাব্যাপী ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও সমাবেশ

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১:০৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক (২৬) ও তার বাবা ছলিম উদ্দীন সরদারে অপহরণ মামলা তুলে নিয়ে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগ ও কেশরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে দ্রুত মুক্তিসহ মামলা তুলে নেয়ার দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছেন।

কেশরহাট পৌরসভার ছাত্রলীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম জীবনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রকি, রায়ঘাটী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর, জাহানাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রানা হাসান বিদ্যুৎসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা।

একই দাবিতে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ভবানীগঞ্জ জিরোপয়েন্টে এলাকায় প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

ভবানীগঞ্জ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাদিরুজ্জামান মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেজানুর রহমান সেজান, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন সান্টু, ছাত্রলীগ নেতা জেবাল আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, সারোয়ার ইসলাম রাকিব, নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, তিতাস আহম্মেদ, নাইমুর রহমান, মোস্তফা কামাল, নাজমুল ইসলাম, মোহন আহম্মেদ, আল আমিন, মীম হোসেন, আকাশুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।

বাগমারায় মানববন্ধন ও সমাবেশ


এছাড়াও পবা উপজেলা ছাত্রলীগও মঙ্গলবার বিকেলে একই দাবিতে কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজ্জাককে নির্দোষ ও সে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক গত ৬ আগস্ট একই এলাকার প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করেন। উল্টো ওই মেয়ের পরিবার থেকে অপহরণ মামলা করা হলে মোহনপুর থানার পুলিশ গত ৭ আগস্ট তার বাবাকে ও ৮ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় পুলিশ।যদিও মেয়ে সাবালিকা নিজ ইচ্ছায় রাজ্জাকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।কোর্টে সেই মেয়ে স্বইচ্ছায় রাজ্জাককে বিয়ে করেছে এবং তার সাথেই থাকতে চান বলে কোর্টে জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুন