জাতীয় শোক দিবস স্মরণে রাজশাহী মহানগর আ’লীগের স্মরণ সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১১:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: শোকাবহ আগস্টের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে স্মরণ সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকাল ৪টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অন্তর্গত ডাঃ কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এই স্মরণ সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

মূখ্য আলোচক ছিলেন; বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

আরো উপস্থিত ছিলেন; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান।

সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

আলোচক ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান।

স্মরণ সভার মূখ্য আলোচক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্ন কার্যকর করেছেন। এই জন্যেই তিনি বঙ্গবন্ধু, এই জন্যেই তিনি জাতির পিতা।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে এখন পর্যন্ত কেউ দমাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও কেউ দমাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সাথে অনেকে রাজনীতি শুরু করেছে, সবচেয়ে পুরনো ছিল কমিউনিষ্ট পার্টি, তারপরে জামায়াতে ইসলাম, অনেক ইসলামী দল, সর্বশেষ বিএনপি এসেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলধারা এখনো অক্ষুণ্ন রয়েছে। তরুণদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা হবে সেই মূলধারা অক্ষুন্ন রাখা।

অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, আজকে নির্বাচন নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বা অনেকে অনেক কথা বলে। আমার মতে তাদেরকে সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করা উচিত, যারা বাংলাদেশ বিরোধী কাজ করছে, যারা পাকিস্তানের তথ্য প্রচার করছে, যারা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে জন্মদিন পালন করে তাদের কীভাবে রাজনীতি করতে দেয়া যায়? গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে কিন্তু তাদের রাজনীতি দেয়া যায় না।

বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, শেখ হাসিনা যদি ১৯৮১ সালে না ফিরতেন, নেতৃত্ব না নিতেন এবং ধীরে ধীরে আজকের এই রাষ্ট্রটা গঠন না করতেন, তাহলে আজকে আমরা ধর্মে রাষ্ট্রে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতাম।

তিনি বলেন, বাঁধা আসবেই। আপনারা মনে রাখবেন, বঙ্গবন্ধুর সহযোগী জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান, তাঁরা কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছেন। অন্যায়কে রুখে দাঁড়াতে শিখুন। দলও যদি অন্যায় করে রুখে দাঁড়াতে শিখুন। যারা প্রকৃত কর্মী তাদের মাথায় হাত রাখেন, তাদের হাতে হাত ধরেন। নেতা সেভাবে তৈরি হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ইতিহাসের সাক্ষী, তিনি ইতিহাস নির্মাণ করেছেন, সেই ইতিহাসে আমরা সহযোগী, আমরা ইতিহাস হতে দেখেছি। আমরা ইতিহাসের সঙ্গেই আছি। আপনারাও থাকবেন। আমরা যেভাবে জয় বাংলা বলে প্রতিরোধ করেছি, জয় বঙ্গবন্ধু বলে প্রতিরোধ করেছি। আপনারাও জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে প্রতিরোধ করবেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, মজিবুর রহমান, মোখলেশুর রহমান কচি, ইসমাইল হোসেন, ইউনুস আলী, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ডাঃ মনন কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন প্রমুখ।

পোস্টটি শেয়ার করুন