জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড-২ এর সদস্য পদপ্রার্থী হচ্ছেন তরুণ উদীয়মান নারীনেত্রী কেয়া রহমান

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১২:২১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী, বিনয়ী তরুণ উদীয়মান ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের নারীনেত্রী সাবিহা শবনম কেয়া। করোনা মহামারীর সময় থেকেই গোটা জেলা ব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন মানবিক নারীনেত্রী হিসেবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন। উচ্চ শিক্ষিত, বিনয়ী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দলমত সকলের কাছে জনপ্রিয় কেয়া রহমান। জনপ্রিয়তা আছে ছাত্রসমাজের কাছেও।

আসন্ন ১৭ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে নারীদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড- ২ এ সদস্য পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন তরুণ উদীয়মান এই নারীনেত্রী। নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ড – ২ গঠিত হয়েছে গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও শিবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে। তিন উপজেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ, দুটি পৌরসভা ও ২৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ড।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর, ভোট গ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর।

ইতিমধ্যেই সোসাল মিডিয়ায় নারীনেত্রী কেয়া রহমানের প্রচারণা চোখে পড়েছে। তিনি নিজেও নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ড-২ এ সদস্য পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন।
প্রার্থীতা ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সমর্থনও পেয়েছেন। জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই প্রকাশ্যে তার পক্ষে মাঠে নামছেন বলে শোনা যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের চাপেই নির্বাচন করার মনস্থির করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।

সাবিহা শবনম কেয়া রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মানবিক কর্মকর্তা, খাদ্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ সেফাউর রহমান এর সহধর্মিণী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।করোনাকালীন সময়ে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে অসহায় মানুষের সাথে ছিলেন। করোনা কালীন টানা দুই বছর তিন উপজেলায় অন্তত ছয় হাজার পরিবারকে সহযোগিতা করে আলোচিত হন।
তরুণ উদীয়মান নারীনেত্রী হিসেবে ইতিমধ্যে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ড – ২ এ সদস্য পদে প্রার্থী সাবিহা শবনম কেয়া তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কারণ হিসেবে জানান; “দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতি বা আর্থসামাজিক অগ্রগতিমূলক কর্মকাণ্ডে নারীদের নিয়ে যে একটা খারাপ ধারনা আছে বা উচ্চ-শিক্ষিত ও মার্জিত নারীরা অনেকাংশে বর্নিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে ভয় পায়,সেসব ধারনাকে ভুল প্রমান করে মাঠে ময়দানে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে শিক্ষিত নারীদের সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের আগ্রহ সৃষ্টিপূর্বক ১) নারীদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে চাই। ২) ন্যায়ের প্রতি শতভাগ সমর্থন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো। ৩) সকল প্রকার প্রতিহিংসা পরিহার করে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই। ৪) অতীতে যেমন এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সমাজের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, নিগৃহীত, অসহায় ও অসুস্থ মানুষের বিভিন্ন দুর্যোগ ও দূর্দিনে নিঃস্বার্থভাবে ছিলাম ভবিষ্যতে ও থাকব ইনশাআল্লাহ এবং ৫)স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতার আলোকে দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে যথাসাধ্য উৎকৃষ্টতার ছাপ রেখে এগিয়ে যেত চাই।

পোস্টটি শেয়ার করুন