টাইগারদের সিরিজ জয়: আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লীগে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। ২৮ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় ম্যাচে আফগানদের হোয়াট ওয়াশ করার সুযোগ থাকছে টাইগারদের।
আফগানদের হারিয়ে একইসঙ্গে ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো হেভিওয়েটদের পেছনে ফেলে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত তালিকার শীর্ষ আটে থাকলেই সরাসরি ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে তামিম ইকবালের দল। ১৪ ম্যাচে ১০ জয়ে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ এখন সবার শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের ১৫ ম্যাচে পয়েন্ট ৯৫।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে তুলেছে ৩০৬ রান।
তামিম – সাকিব ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েন দুজন লিটন দাস- মুসফিক। একটা পর্যায়ে লিটন এতই আগ্রাসী হয়েছিলেন যে আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো স্কোর বোর্ড। কিন্তু ৪৭তম ওভারে ডিপ স্কয়ার লেগে লিটন ক্যাচ তুলে দিলে সেখানেই শেষ হয় বাড়তি রানের সম্ভাবনা। কারণ, তার ফেরার পরের বলে ফিরেছেন আরেক সেট ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৮৬ রানে ক্রিজে থাকা মুশফিকও ক্যাচ তুলে ফিরেছেন। ৯৩ বলে ফেরা এই ব্যাটারের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। তার আগে ১২৬ বলে ১৩৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে ফেরেন লিটন। তাতে ছিল ১৬টি চারের সঙ্গে ২টি চারের মার।
এ দুজন ফেরার পর আফিফ-মাহমুদউল্লাহ সেভাবে রান তুলতে পারেননি। ৪ উইকেটে ৩০৬ রানের মধ্যেই শেষ হয় ৫০ ওভার।
৩০৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানরা তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারেনি৷ আফগানদের ৩৪ রানে তিন উইকেট ফেলার পর সিরিজ জয়ের পথে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল রহমত শাহ-নাজিবুল্লাহ জাদরান জুটি। যে জুটিতে আসে ৮৯ রান। হাফসেঞ্চুরি করা দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। অবশ্য ৪৫.১ ওভারে ২১৮ রানেই শেষ হয়েছে আফগানিস্তানের ইনিংস। আফগানদের মূল জুটি ভেঙে দেওয়া তাসকিন ২১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ৩৮ রানে দুটি নেন সাকিব আল হাসানও। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৪ (তামিম ১২, লিটন ১৩৬, সাকিব ২০, মুশফিক ৮৬, মাহমুদউল্লাহ ৬*, আফিফ ১৩*; ফারুকি ১০-১-৫৯-১, ফরিদ ৮-০-৫৬-২, মুজিব ১০-০-৪৯-০, ওমরজাই ৭-০-৩৭-০, রশিদ ১০-০-৫৪-১, নবি ৪-০-২৬-০, রহমত ১-০-১০-০)।
আফগানিস্তান: ৪৫.১ ওভারে ২১৮ (রহমত ৫২, রিয়াজ ১, শাহিদি ৫, ওমরজাই ৯, নাজিবউল্লাহ ৫৪, নবি ৩২, গুরবাজ ৭, রশিদ ২৯, মুজিব ৮, ফরিদ ৬*, ফারুকি ০; মুস্তাফিজ ৮-০-৫৩-১, শরিফুল ৭-০-৪৪-১, তাসকিন ১০-২-৩১-২, সাকিব ৯-০-২৯-২, মিরাজ ১০-০-৫২-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-২-১, আফিফ ০.১-০-০-১)