

ট্রিবিউন ডেস্ক: তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে কনজারভেটিভরা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনে দায়িত্ব নেওয়া নতুন নেতাই প্রধানমন্ত্রী পদে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
বৃহস্পতিবার ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে জনসন তার পদত্যাগের ভাষণে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
জনসন দলে কতটা বিচ্ছিন্ন ও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছিলেন, তা কেবল বৃহস্পতিবার সকালের দুই ঘণ্টায় ৮ মন্ত্রীর পদত্যাগেই বোঝা যায়। অথচ আগের দিনও পার্লামেন্টে তিনি বলেছিলেন, পদত্যাগ তিনি করবেন না।
তিন বছরেরও কম সময় আগে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন বরিস। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিনি নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাস মহামারিতে আরোপিত লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে পার্টি আয়োজন ও জরিমানা প্রদান।
এর মধ্যে একজন কনজারভেটিভ পার্লামেন্ট সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী আমলে না নেওয়ায় অসন্তোষ তীব্র হয়।