দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল ‘বিলভাতিয়া’ পরিদর্শনে বিএমডিএ চেয়ারম্যান

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও ঐতিহাসিক বিল চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটের ‘বিলভাতিয়া’কে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও পর্যটন স্থান করার লক্ষ্যে পরিদর্শন করেন বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. আকরাম চৌধুরী।

শুক্রবার ১৫ জানুয়ারি প্রায় ৬০০০ একর অর্থাৎ ১৮০০০ বিঘার এই বিলটি পরিদর্শন করেন বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনীতিবিদরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাব্বুল হোসেন,ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান,ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী শাহ্,ভোলাহাট বিএমডিএ অফিসার ময়েন উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান গরীবুল্লাহ দবির,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সরদার, কৃষকলীগ সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিদ্যুৎ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ডালিম,উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতানুল ইসলাম বুলেট সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

দেশের ২য় বৃহত্ততম বিল বিলভাতিয়া সরকারী বেসরকরী মিলিয়ে ধানী ও বিল প্রায় ৬হাজার ৮৬ ও জলাশয় প্রায় ৩শ’২ একর। বিশাল এ বিলে উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করলে কৃষি, মৎস্য, বনায়ন, ভূ-গর্ভস্থ্য পানির অপচয় রোধ হবে, অতিথি পাখির অভয়ারণ্য, বিনোদন কেন্দ্র ও বন্যা রক্ষা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ব্যাপক অর্থনৈতিক আয় সম্ভব হবে। তাছাড়া ভোলাহাট উপজেলাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অনেক নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ বিলটিকে খনন করলে পানি রিজার্ভ হিসেবে পানি সংরক্ষণ করা যাবে। এ পানি দিয়ে হাজার হাজার একর কৃষি জমি চাষাবাদ করা সম্ভব হবে। এতে করে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন বন্ধ হলে ভূ-গর্ভাস্থ পানির অপচয় রোধ হবে এবং ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। ফলে কৃষক কৃষি জমি চাষে অল্প খরচে অধিক ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এদিকে বিলটি খননে চারিদিকে পাড় নিমার্ণ করে জলাশয়ে মধ্যস্থানে একটি বিনোদন কেন্দ্র তৈরী করা হলে বিনোদন কেন্দ্র করা সম্ভব। ফলে বিলটি দৃষ্টিনন্দন হবে তেমনি অর্থনৈতিক আয় বেড়ে যাবে।

মনোরম দৃষ্টিনন্দন বিলভাতিয়া দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসবেন বিনোদন প্রেমিকেরা। বনায়ন হতে পারে আয়ের বড় একটা উৎস এবং পর্যটন এলাকা। বিল ভাতিয়া কালের বির্বতনে জলাশয়ের অংশ তলানিতে পৌঁচ্ছে। ফলে মৎস্য উৎপাদন ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিলটি খননে জলাশয়ের অংশ প্রস্থ্য হলে মাছ উৎপাদন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। ভোলাহাট উপজেলাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সকল মানুষের মাছের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে প্রচুর অর্থ আয় সম্ভব হবে। এদিকে উপজেলার আলালপুর হয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার শিয়ালমারা পর্যন্ত রাস্তা করা হলে শিবগঞ্জ উপজেলার সাথে যোগাযোগ সহজ হবে এবং রাস্তাটি বন্যা রক্ষা বাঁধের সৃষ্টি হবে।
অপরদিকে ১৯৬২সালে কানাডা থেকে এক দল গবেষক বিলভাতিয়া জুড়ে খনিজ সম্পদ বিষয়ে গবেষনা চালিয়ে পিট কয়লা ও তেলের সন্ধান পেয়ে ছিলেন। ফলে এ বিষয়টিও ভেবে দেখা যেতে পারে। এখান থেকেও অর্থনৈতিক চাকা ঘুরে যেতে পারে।

এ বিলভাতিয়াটিতে সরকারী ভাবে উদ্যোগ নিয়ে খনন করলে কৃষি, মৎস্য, বনায়ন,কর্মসংস্থানসহ উন্নয়নে ব্যাপক লাভবান হবে দেশে ঘুরে যাবে দেশের অর্থনৈতির চাকা।

পোস্টটি শেয়ার করুন