

ডেস্ক নিউজঃ মহামারীকালে সাময়িক বিরতির পর বিভিন্ন গন্তব্য থেকে আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রোববার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
১৫ অগাস্টের পর পর্যায়ক্রমে সব আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেলবহরে ১৩ জোড়া ট্রেন যোগ হওয়ায় ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জোড়ায়।
রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীবাহী ১৭ জোড়া ট্রেন পরিচালনা করছিলাম। যেহেতু সরকার আস্তে আস্তে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে সেই নির্দেশনায় আজ থেকে আরও ১৩ জোড়া ট্রেন যুক্ত করছি।
“এর মধ্যে ১২টি আন্তঃনগর ও একটি কমিউটার ট্রেন। এ ট্রেনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে এবং সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।”
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় দেশে সাধারণ ছুটির পর গত ৩১ মে আট জোড়া এবং ৩ জুন আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালু হয়।
এর ১৭ দিনের মাথায় যাত্রী সঙ্কটে দুটি রুটের ট্রেন সাময়িক স্থগিত করে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৭ জোড়া ট্রেন অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করছিল।
অনলাইনে টিকেট সর্ব সাধারণের জন্য সহজলভ্য না হওয়ায় কাউন্টারে টিকেট বিক্রি শুরু করা হবে কিনা জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, “আমরা টিকেট কালোবাজারি ঠেকানোর জন্য এ কাজ করছি। অনলাইন টিকেট কাটায় ট্রেন খালি যাচ্ছে না। আস্তে আস্তে করে স্বাভাবিক করছি।
“খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া আমরা রেলভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছি। স্কুলগুলো এখনো খুলেনি, সার্বিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি। এজন্য ট্রেনে অর্ধেক টিকেটে বিক্রি করছি। দূর থেকে এসে যদি দেখে কাউন্টারে টিকেট নেই তাহলে ঝুঁকি বাড়ে। আস্তে আস্তে সবাই অভ্যস্ত হয়ে যাবে। যা কিছু করছি যাত্রীদের সুবিধার জন্য করছি।”
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল আলম জানান, ১৩ জোড়া ট্রেনের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস।
ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন চালবে।
এছাড়া পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস চালু হয়েছে।