নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাত বছর বয়সী শিশু হামিম দোকানে টিভি দেখার সময় বারবার চ্যানেল পরিবর্তন করায় দোকানী মুকলেশ তার হাত থেকে রিমোট টি কেড়ে নিতে চাই। ছোট্ট শিশুটি মন খারাপ করে রিমোটটি ছুঁড়ে ফেললে ভেঙে যায়। এতেই মুকলেশ রাগে হামিমের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে। এক পর্যায়ে হামিম মারা যায়।
গত মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের দাঁড়িপাতা গ্রামের সাত বছর বয়সী শিশু হামিমের লাশ উদ্ধারের পরপরই ঘটনার রহস্য উদঘাটন খুনিকে বের করতে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে সন্দেহভাজন আটক তিনজনের মধ্যে স্থানীয় দোকানী মুকলেশ (৫৫) পুলিশ ও আদালতের কাছে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানান গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস।
গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের দাড়িপাতার রেজাউলের ছেলে হামিমের হত্যাকারী হিসেবে স্বীকারোক্তি দানকারী মুকলেশ একই এলাকার মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে।
আটক মুকলেশ আরো জানায়, রিমোট ভেঙে ফেলার রাগে সোমবার সকালে হামিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সারাদিন বাড়িতে তার লাশ লুকিয়ে রাখা হয়। রাতের বেলায় তার লাশ খেসারি খেতে ফেলে রাখা হয়।
এই হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার শিশুটির পিতা বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।