

ডেস্ক নিউজ:কুমিল্লার মুরাদনগরে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার দায়ে একটি মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার দুপুরে উপজেলার সিদ্ধেশ্বরী এলাকার দারুল কোরআন আল আরাবিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় মাদ্রাসাটি চালু কারতে চাইলে যথাযথ কাগজপত্র এবং অনুমোদন নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
জানা যায়, উপজেলার সিদ্ধেশ্বরী দারুল কোরআন আল আরাবিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম নাজিবুল্লাহ আফসারী জাতীয় সঙ্গীতের সুর নকল করে নিজস্ব সঙ্গীত পরিবেশনা করে তার নিজস্ব ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। এতে বিষয়টি দেশব্যাপী সৃষ্টি করে তুমুল বিত’র্কের। জাতীয় সঙ্গীতের অব’মাননা হয়েছে বলে জানান সুধীজন। সেই ভিডিওটি কর্তৃপক্ষসহ গণমাধ্যম এবং স্থানীয় প্রশাসনেরও দৃষ্টিগোচর হয়।
রোববার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাস এবং থানার ওসি নাহিদ আহাম্মেদ। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। পুলিশ আসছে শুনে তিনি পালিয়ে যান।
এ সময় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে মাদ্রাসার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ওই শিক্ষককে তার ফেসবুক আইডিসহ ইউটিউব চ্যানেল থেকে ওই সুরে গাওয়া সঙ্গীতটি মুছে ফেলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১ মাস ১৮ দিন আগে ওই মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করে মসজিদ কমিটি। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য স্থানীয়দের কাছে মাদ্রাসাটি নিয়ে বিস্তর সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মাদ্রাসার মুহতামিম নাজিবুল্লাহ আফসারী এই সঙ্গীতকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান বলে শোনা গেছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার নাজিবুল্লাহ আফসারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি এমন হবে তা আমার জানা ছিল না। আমি আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে সবকিছু কেটে দিয়েছি এবং একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে এ বিষয়টির জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইবো।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাস বলেন, জাতীয় সঙ্গীতের সুর ব্যবহার করে ওই মাদ্রাসার মুহতামিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সঙ্গীত পরিবেশন করে ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন; যা বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সঙ্গীত বিষয়ক নির্দেশনা এবং কপিরাইট আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ বিষয়টি নিয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় আপাতত ওই মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।