ট্রিবিউন ডেস্ক: নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি) চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া।
গত সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এনসিসিসি’র বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান জানান, “আমরা প্রস্তাবিত কাঠামো অনুসারে মূল্যায়ন পদ্ধতিটি চূড়ান্ত করেছি।”
আজকের বৈঠকে প্রস্তাবিত কাঠামো এবং নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক রাখা হয়েছে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সামষ্টিক মূল্যায়নে লিখিত অংশের ওয়েটেজ হবে ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ হবে ৩৫ শতাংশ। কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
গত মে মাসে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। সেটিই আজ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর আগে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য গঠিত কমিটি কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ এবং লিখিত অংশের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ করেছিল। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে লিখিত অংশের ওয়েটেজ বাড়ানো হয়।
ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, লিখিত ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন মিলিয়ে পাঁচ ঘণ্টার সময় রাখা হয়েছে। দশম শ্রেণি শেষে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা হবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনসিটিবি মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করে। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত নতুন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তা সংশোধন করা হয়। শেষে এনসিটিবির বোর্ড সভায় সেটি অনুমোদিত হয়ে এনসিসিসির সভায় উপস্থাপনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, এনসিসিসি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের একটি কমিটি যেখানে শিক্ষাক্রমের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।