নাসিক নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয় আইভীর

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধিঃ টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে ৬৯১০২ ভোটের ব্যবধানে টানা তৃতীয়বার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন আইভী।

রবিবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হওয়ায় রেজাল্টও তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। বিভিন্ন কেন্দ্রের রেজাল্ট ঘোষণার সাথে নৌকার পাল্লাও বাড়তে থাকে। বাড়ছিলো নৌকার সমর্থকদের উল্লাস।

মোট ১৯২টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। অন্যদিকে হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধান।

নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রোববার সকাল ৮টা থেকে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রে নাসিকের ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি চোখে পড়ে। ভোটের মাঠে মেয়র পদে ছয়, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জনসহ মোট ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে মোট সাতজন মেয়র প্রার্থী ছিলেন৷ বাকিদের মধ্যে এবিএম সিরাজুল মামুন (খেলাফত মজলিস) পেয়েছেন ১০ হাজার ৭২৪ ভোট, মাছুম বিল্লাহ (ইসলামী আন্দোলন) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৭ ভোট, কামরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ ভোট, জসীম উদ্দিন (খেলাফত আন্দোলন) পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৯ ভোট, রাশেদ ফেরদৌস (কল্যাণ পার্টি) পেয়েছেন ১ হাজার ৯২৭ ভোট৷

এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশের কোনো সিটি করপোরেশনের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন আইভী। ২০১৬ সালে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তিনি জয়ী। এর আগে ২০০৩ সালে পৌর মেয়র হিসেবে আইভীকে বেছে নিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জবাসী।

২০১১ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

ওই নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭০ শতাংশ।

২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোটে আবার নির্বাচিত হন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট। ওই সময়ে ভোট পড়েছিল ৬২ শতাংশ।

পোস্টটি শেয়ার করুন