পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রাবিতে ‘রাবিশ বিন’ এর উদ্বোধন

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রদায়িকতার ছোবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে রাবিশ বিন স্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাবিশ বিন প্রোজেক্ট এর উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোঃ জাকারিয়া এবং ড. সুলতানুল ইসলাম টিপু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি জুলফিকার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তারিক জামান।

রাবি এলামনাই এসোসিয়েশন অষ্ট্রেলিয়ার সভাপতি জুলফিকার আহমেদ বলেন; ” সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটেছে, যা কোন অবস্থাতেই কাম্য না। ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠিত। সমগ্র বিশ্ব যেখানে জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা যাচ্ছি পশ্চাদমূখী, যা মেনে নেওয়া কষ্টকর। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে দেশের আপামর জনগনের ধর্মভীরুতার সুযোগ নিয়ে একটা গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতার বিষপাপ ছড়াচ্ছে। আমরা এলামনাইরা চাই, আমাদের বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা ধার্মিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার পার্থক্যের ব্যাপারে সবসময় সচেতন এবং সাম্প্রয়িকতার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকবে। তাই আমাদের উদাত্ত আহ্বান, আসুন আমরা ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে সবাই মিলে আমাদের ভবিষ্যৎ পৃথিবী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করি; সবাই সমস্বরে বলি “আসুন আমরা আবর্জনা এবং সাম্প্রদায়িকতা দুটোই রাবিশ বিন-এ ফেলি’।”

রাবি এলামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার সাধারন সম্পাদক তারিক জামান বলেন; “বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ আমাদেরকে অনেক দিয়েছে, এখন আমাদের উচিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের ঋণ কিছুটা হলেও ফেরৎ দেওয়া। আমরা যারা অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের উন্নত দেশে থাকি, তারা জানি কীভাবে এখানকার সাধারন মানুষ পরিবেশ রক্ষায় সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। এখানকার প্রত্যেকটা বাড়িতে বা অফিসে নিজস্ব অর্থে কেনা মুখবন্ধ রাবিশ বিন থাকে। এটা পূর্ণ হয়ে গেলে বাড়ির গ্যারেজে বা বাইরের এক কোণায় থাকা সিটি কাউন্সিলের বিনে স্থানান্তর করা হয়, যেটা সপ্তাহান্তে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এসে নিয়ে যায়। এখানকার লাল, সবুজ ও হলুদ বিনে জমানো উচ্ছিষ্ট পূনরুৎপাদনযোগ্য ও পচনশীল পন্য প্রতি সপ্তাহে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে এখনই এত সুন্দর ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব না হলেও কোথাও না কোথাও শুরু তো করতে হবে! তাই এই উদ্যোগ নেওয়া।”

পোস্টটি শেয়ার করুন