ট্রিবিউন ডেস্ক: ব্যাংকগুলো অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ঋণ দিয়েছে। এ সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ৫ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ শতাংশ। আর বিদেশি ও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো ৭ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ।
দেশে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ১২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকগুলো। এটা ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে কৃষিতে ঋণ দেয়া হয়েছিল ১০ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ঋণ দিয়েছে। এ সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ৫ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ শতাংশ। আর বিদেশি ও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো ৭ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ।
ঋণ বিতরণে শীর্ষে বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ব্যাংকটি ৩ হাজার ২৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত অর্থবছরে ঋণ বিতরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তার চেয়ে ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে বেশি, যা শতাংশে ১০১ দশমিক ৫৬ ভাগ। ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্য ছিল ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলো মোট ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে। ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮১১ জন এই ঋণ পেয়েছেন।
ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫২ জন নারী ১০ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।
এছাড়া গত অর্থবছরে ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২০ হাজার ১৮২ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৪ হাজার ৭৩ জন কৃষক প্রায় ১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ঋণ পেয়েছেন।
চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বিশ্ব মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে খাদ্য সরবরাহ ঠিক রাখতে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন-বিপণনে অর্থায়ন ঠিক রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ পদ্ধতিও সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় হাঁস পালনের জন্য নিয়মাচর সংযোজন, চিয়া বীজ, ত্বীন ফল, সুগার বিট চাষের জন্য নিয়মাচরসহ সাতটি খাত সংযোজন করা হয়েছে নতুন নীতিমালায়।
এছাড়া ভিয়েতনামী হাইব্রিড নারিকেল, কফি ও সুইট কর্ন চাষের ঋণ নিয়মাচার সংযোজন, সামুদ্রিক শৈবাল চাষ, মৎস্য খাতের আওতায় গলদা চিংড়ি চাষ, সহজে অধিকসংখ্যক কৃষককে ঋণ দেয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর দলবদ্ধভাবে কৃষিঋণ বিতরণের পদ্ধতি সংযোজন এবং একর প্রতি ফসল উৎপাদনের ঋণ নিয়মাচার যোগ করা হয়েছে।