

নিজস্ব প্রতিবেদক: গোমস্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী ও রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দুরুল হোসেনকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বুধবার ১৫ জুন রাজশাহীর সময়সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান তারা। তারা বলেন, উক্ত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি কুচক্রী মহল আমাকে কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিকভাবে হেয় করতে প্রতিবেদককে দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করেছে। প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী ও রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দুরুল হোসেন এর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয় ; গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও বিএনপি নেতা সারিকুল ইসলাম সাদ্দামের বড় ভাই শরিফুল ইসলামের কাছে টাকা পাবে একই ইউনিয়নের ব্রজনাথপুর গ্রামের ফরহাদ নামের এক ব্যক্তি। প্রায় এক বছর থেকে পাওনা টাকা ১৪৮০০০ টাকা পরিশোধের বারবার দিন নিলেও টাকা না দিয়ে বরং হুমকি ধামকি দিতো। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী ও রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দুরুল হোসেনকে আত্মীয়তার সূত্রে বিষয়টি জানান পাওনাদার ফরহাদ। পরে শাহরিয়ার ও দুরুল শরিফুলের বড় ভাই স্থানীয় মেম্বার সাদ্দাম কে জানায় বিষয়টি সমাধানের জন্য। প্রায় একমাস যাবত সমাধানের কথা বলে শাহরিয়ার ও দুরুলকেও হয়রানি করে সাদ্দাম মেম্বার।
শাহরিয়ার ও দুরুল বিবৃতিতে আরো জানান; গতকাল ১৪ জুন মঙ্গলবার পাওনা টাকার বিষয়ে সমাধানের জন্য বাঙ্গাবাড়ীতে বসার কথা ছিলো। কিন্তু শরিফুল না এসে উল্টো তার বড় ভাই সাদ্দাম মেম্বার ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে কথাবার্তা বলে। আমরা টাকার বিষয়ে কথা বলতে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মাধাইপুরে ডাকে। সেখানে পাওনাদার ফরহাদকে সাথে নিয়ে আমরা ৬-৭ জন গিয়ে শরিফুলের কাছে টাকার বিষয় জানতে চাইলে সাদ্দাম মেম্বার উচ্চবাচ্য করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়ে অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।
-
বিবৃতিতে তারা আরও জানান, শরিফুল একজন প্রতারক টাইপের লোক। ফরহাদের মতো অনেক মানুষ তার কাছে টাকা পায়। সে পাওনাদারের টাকা না দিয়ে উল্টো সিনক্রিয়েট তৈরি করেছে ও মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিতে তারা বলেন, এই ঘটনায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোন সংশ্লিষ্টটা নেই। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয় আমাদের। প্রকাশিত সংবাদে ছাত্রলীগের নাম দিয়ে ঘটনার উল্টো বর্ণনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা রাজশাহীর সময় পত্রিকার কাছে বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য সংবাদ প্রত্যাশা করি।
তারা আরো জানান, শরিফুল ও তার ভাই সাদ্দাম মেম্বার অন্য আদর্শের রাজনৈতিক দল হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ঘটনাকে উল্টো বর্ননা করে আমাদেরকে রাজনৈতিক হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে। সেই সাথে টাকা না দিয়ে প্রতারণার জন্য ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ায় শরিফুল ইসলাম ও তার ভাই ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা সাদ্দাম মেম্বার এর বিচার চাই। প্রতারক শরিফুল ও তার ভাই সাদ্দাম মেম্বারের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।