ট্রিবিউন ডেস্ক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে গ্রেফতারকৃত প্রতারক মাহবুব সেলস ডিস্ট্রিবিউটর অফিসার সেজে জামালপুরের এজেন্ট ব্যবসায়ী রুবেলকে ফোন করে।
“রুবেল আমি তোমাদের ডিএসও মনির বলছি, বিকাশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তোমার এপ্স আপডেট করার জন্য ফোন করবে, যা যা বলবে তুমি করে দিও”
প্রতারক মাহবুব এবার বিকাশ হেডকোয়ার্টার্সের কর্মকর্তা সেজে রুবেল কে ফোন দিয়ে তার পিন ওটিপি জেনে অ্যাপসটি খুব ভালোভাবে আপডেট করে দেয়। কিন্ত ততক্ষণে রুবেলের নম্বর থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকা হাওয়া।
রুবেল সাথে সাথে তার ডিএসও কে ফোন করে, চলে যায় তার কাছে স্বশরীরে। ডিএসও র মোবাইল নাম্বার চেক করে সঠিক পায়, কথা বলার ধরনও এক! কিন্তু ডিএসও জানায় সে রুবেলকে ফোন করেনি।
হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাপস আপডেট করার কথা বলার তো প্রশ্নই উঠেনা। রুবেলের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী সে। টাকা উদ্ধারে মরিয়া হয়ে ওঠে।
সিআইডি সাইবার ক্রাইমের ডেডিকেটেড একটা টিম মাস ব্যাপী কাজ করে প্রতারণার ইকুয়েশন বের করে। মূল হোতা মাহবুবকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুরো টাকা ক্যাশ আউট হয় ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে, সেখান থেকে ইউসুফ গ্রেফতার হয়।
এরপর সাইবার টিমের আসল চমক দেখানো হয় জামালপুরের রিপন এবং মিল্টনকে গ্রেফতার করে। এরা মূলত বিকাশের সেলস ডিস্ট্রিবিউটর অফিসার ছিল। প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ায় তাদেরকে চাকুরীচুত্য করা হয়।
জামালপুরের বিকাশের ডিএসও এবং এজেন্ট ব্যবসায়ীদের মোবাইল নাম্বার এরাই মূলত ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পাঠিয়ে দেয়। ফরিদপুরের প্রতারকচক্র বিকাশের ডিএসও নাম্বার ক্লোন করে ডিএসও সেজে এজেন্ট ব্যবসায়ীদেরকে ফোন করে। প্রতারক চক্র নাম্বার ক্লোন করতে পেইড ভার্সনের একটা বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করে থাকে।
প্রতারণায় ব্যবহৃত নয়টি মোবাইল ফোন এবং ৫১ টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।