বঙ্গবন্ধুকে হত্যার এদেশীয় এজেন্টদের এক নম্বরে ছিলেন জিয়াউর রহমান: খায়রুজ্জামান লিটন

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন; ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার এদেশীয় এজেন্টদের মধ্যে এক নম্বরে ছিলেন জিয়াউর রহমান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। আজ সেই কারণে বাংলাদেশের মানুষ বলে একটা কমিশন গঠন করা হোক। শুধু জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া-এরাই শুধু নয়, আর কারা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সুফলভোগী, আর কারা কারা বেনিফিশিয়ারি এটা জানবার অধিকার জাতির সবার আছে, প্রত্যেকের আছে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার শহীদদের স্মরণে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশাল শোক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন; ‘প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সুযোগের অপেক্ষায় ছিল কখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এই দেশটাকে পাকিস্তানি ভাবধারায় রাষ্ট্রকে পরিচালিত করা যায় এবং একটা সময়ে এসে ১২০০ মাইলের যে ব্যবধান সেই ব্যবধানের দুই পাকিস্তানকে আবার এক করা যায় কিনা। এই ছিল একটা চক্রান্ত। আরেকটা চক্রান্ত ছিল-এই বাংলাদেশে থেকে ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে যত রকম চক্রান্ত করা সম্ভব, সবই করতে হবে। এগুলো ছিল প্রেসক্রিপশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশন, পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশন, আরো কোন পরাশক্তির। এবং সব মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করা হলো। তারপরেও বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা সম্ভব হতো না, যদি তিনি সাবধান বানী গ্রহণ করতেন। বঙ্গবন্ধুকে শেষবারের মতো বলা হলেও তিনি সাবধানবাণী বিশ্বাস করেননি। তাকে প্রাণ দিতো হলো। তাঁর প্রাণের সাথে চলে গেল বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন বিষয়।,

রাসিক মেয়র বলেন; ‘ভারত, ইংল্যান্ড সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে ক্ষমতাশীন সরকার বহাল থেকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সেভাবেই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে যদি বিএনপিসহ অন্যরা যোগদান করে তাদেরই ভালো। যদি অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না। ১৩ সালেও থেমে থাকেনি, ১৮ সালেও থেমে থাকেনি নির্বাচন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে উন্নয়ন সেই উন্নয়নে মানুষ যদি একটু বিবেকবান হয়, আমরা যদি বোঝাতে পারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে। আমাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। ইনশাআল্লাহ রাজপথেও আমরা ব্যালট পেপারেও থাকবো আমরা। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।’

নাটোরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এই বিশাল শোক সমাবেশের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের সঞ্চালনায় শোক সমাবেশে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ।

বিশাল শোক সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

শোক সমাবেশের নির্ধারিত সময়ের আগেই বিভিন্ন উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মিছিলে সমাবেশ স্থল কানায় কানায় ভরে যায়।

পোস্টটি শেয়ার করুন