বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পিছনে ছিলো বাঙালি জাতীয়তাবাদকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া : রাবি উপাচার্য

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন; ‘বঙ্গবন্ধুকে একদিনের ষড়যন্ত্রে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়নি। এ হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্ব ও সুপরিকল্পিত। কেননা পিছনে ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চক্রান্ত। ১৯৭৩ সাল থেকে দেশদ্রোহীরা এদেশকে ফের পাকিস্তানের রূপ দিতে পরিকল্পনা শুরু করেছিল। অবশেষে ‘৭৫-এ সম্মিলিতভাবে বাঙালির ভাগ্যকে পিছনে ঘুরে দিতে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সক্ষম হন ঘাতকরা।

বৃহস্পতিবার ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস) সেমিনারকক্ষে ‘শোকে-আক্ষেপে আমাদের পনেরই আগস্ট’ শীর্ষক এক বক্তৃতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাবি উপাচার্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের চিত্র তুলে ধরে আরো বলেন; ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড কোন সুশীল জাতি মেনে নেয়নি। সেজন্য পশ্চিমারা তখন এসব হত্যাকারীকে তাদের দেশে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। আমেরিকা বলেছিল, তাদের হাতে আছে রক্তের দাগ। কিন্তু পাকিস্তানের মদদে তারা তখন রক্ষা পেয়েছিল। তাদের লিবিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বাঙালি জাতি হারিয়েছিল সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টাকে।’

প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন; এই হত্যাকান্ডকে কখনোই বলবেন না উচ্ছৃঙ্খল সেনাবাহিনীর কাজ। এটা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এটা কতটা সুপরিকল্পিত তা বোঝা যায় ১৯৭৩ সালের ১১ জুলাই মেজর রশিদ যায় আমেরিকার এ্যাম্বেসিতে অস্ত্র চাইতে। আসল লক্ষ্য ছিলো বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করে পাকিস্তানি ধারায় গড়া।

উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় বলেন; আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে প্রয়োজন কারা বঙ্গবন্ধুকে মেরেছে, কারা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারতেন কিন্তু করেননি। এই বিষয়ে নির্মহভাবে একটা বিজ্ঞানমনস্ক ভিত্তিক গবেষণা হওয়া উচিত।

তিনি বলেন; যারা একাজটা করেছে তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বাঙালি জাতীয়তাবাদকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। আমাদের যে আবহমানকাল যে জাতিগোষ্ঠীকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়া।

বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক বক্তৃতা প্রদান করেন; আইবিএস-এর বন্ধবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন; উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম।

আইবিএস এর পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ নাজিমুল হকের সভাপতিত্বে এই বক্তৃতায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর মো. আবুল কাশেম (ইতিহাস), প্রফেসর মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা) প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন; ইনস্টিটিউটের ফেলো শুভেন্দু সাহা।

পোস্টটি শেয়ার করুন