বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশ গড়তে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে: ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২

ট্রিবিউন ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

সোমবার ৩১ জানুয়ারি বিকেলে মিরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এই মন্তব্য করেন বক্তারা।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ মজুমদার।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, মিরপুরে শহীদ সাংবাদিক আবু তালেবের পুত্র খন্দকার আবুল আহসান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন, সাংবাদিক মিরাজ মিজু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, “৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকার-আলবদরদের যেসব সদস্য আত্মসমর্পণ না করে অবাঙালি অধ্যুষিত মিরপুরে অবস্থান নিয়েছিল তাদের দখল থেকে মিরপুর মুক্ত করতে গিয়েই জহির রায়হানসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী, রাজাকার, আলবদর প্রভৃতি ঘাতকদের দল ও বাহিনী সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আত্মগোপনে থেকে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতে লিপ্ত ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী তার সহযোগীরা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে সংবিধানে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ৭১-এর ঘাতক দালালদের বিচার আরম্ভ করেছিলেন। যা ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমানের দ্বারা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “ধর্মের নামে রাজনীতির উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা সংবিধানে এখনও পুনস্থাপিত হয়নি। যার কারণে ৭১-এর গণহত্যাকারী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীরা এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে ধর্মের নামে হত্যা, সন্ত্রাস, নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।”

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু চার মূলনীতির ভিত্তিতে দেশকে স্বাধীন করেছেন এবং সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেই সংবিধানকে শুধু ক্ষত বিক্ষত করে নাই বরং ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এজন্য জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি।”

উল্লেখ্য; ১৯৭২ এর ৩০-৩১ জানুয়ারি মিরপুরের যুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি জনসমাবেশ ও র‍্যালির মাধ্যমে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মিরপুর মুক্ত দিবস পালন করে। এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে জনসমাবেশ ও র‍্যালির পরিবর্তে ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন