বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত : রাজশাহীতে ওবায়দুল কাদের

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২২

রাজশাহী প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান জড়িত এতে কোন সন্দেহ নাই, তিনিই খুনীদের বিদেশ পাঠান, পুর্নবাসন করেন।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিডিও কনফারেন্সে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি তার দোসরদের নিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে রাজপথ দখলের চেষ্টা করছে; দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিএনপি জানে নির্বাচন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। সে জন্য তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে উত্থাত করে ক্ষমতায় যাওয়ার সংক্ষিপ্ত শটকাট রাস্তা খুজছে।

বিএনপিকে উদেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে আর ক্ষমতার পরিবর্তন অলিগলি দিয়ে; পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। নির্বাচন করেই জনগণ যাকে যাইবে তাকেই ক্ষমতায় যেতে হবে। নির্বাচন করবে ফাইসালা কে ক্ষমতায় যাবে। গণতন্ত্রের ডাক দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। কারণ বিএনপির হাতে রত্তের দাগ, পোছাত্তরের পনেরো আগস্টের রক্তের দাগ, একুশে আগস্টের রক্তের দাগ, শত শত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যার রক্তের দাগ বিএনপির হাতে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন- মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ গড়তে লাগলেন, আমরা তাঁকে সময় দিলাম না। বঙ্গবন্ধু যে জিয়াউর রহমানকে চারটি প্রমোশন দিয়ে মেজর থেকে মেজর জেনারেল করেছিলেন, সেই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যের কাজটি সুচারুরূপে করতে লাগলেন। এই পটভূমি তৈরি করবার জন্যে তৎকালীন বিভিন্নভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে, বৈদেশিক সমর্থন দিয়ে চক্রান্তকারীরা প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করার ক্ষেত্রে আরো একটি দল ভুমিকা রেখেছে, সেটি হচ্ছে তৎকালীন জাসদ।

কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কারা কারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত এবং কারা কারা এই হত্যাকাণ্ডে বেনিফিশিয়ারি-এটা খুঁজে বের করতে হবে। কারণ এক জিয়াউর রহমান এদেশীয় এজেন্টদের মধ্যে প্রধান ভুমিকা পালন করেছে, শিখন্ডী খন্দকার মোস্তাক আর ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে ফারুক, রশীদ, ডালিম, হুদা ইত্যাদি। কিন্তু এই বাইরেও আরো অনেকে ছিল, তারা কারা তাদের খুঁজে বের করা এখন সময়ের দাবি। তারা জীবত থাকুক আর ইহকাল ত্যাগ করুক, তাদের পরিচয় জানার অধিকার জাতির সবার আছে।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন।

শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মাহ্ফুজুল আলম লোটন, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা বিয়ষক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, কল্পনা রায়, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, মোখলেশুর রহমান কচি, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, কে এম জুয়েল জামান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ।

পোস্টটি শেয়ার করুন