

ট্রিবিউন ডেস্কঃ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, সকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের ঐতিহাসিক ভবনে ভিড় জমাতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। ছাত্রনেতাদের ভিড় ছিল পুরো সময়জুড়ে। এসময় নিজ বাসভবনে শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু।
এরপর ছাত্র নেতাদের তিনি জানান, বিকালে রেসকোর্সে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায়) চার-দফা দাবি পেশ করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জামাতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, সাবেক ডাকসু নেতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া তার স্মৃতিকথায় এই তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৬ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ জানান, ৬ মার্চ সন্ধ্যায় ও ৭ মার্চ দিনের বেলা দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে শুধু এই চার দফার ব্যাপারেই আলোচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাকি সব কথার কোনো ড্রাফট ছিল না। ৭ মার্চের ভাষণ তিনি নিজের চিন্তা থেকেই দিয়েছিলেন।’
তোফায়েল আহমেদ আরো জানান- ৭ মার্চ দুপুর ২টার পর বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণ দিতে ৩২ নম্বরের বাসা থেকে বের হন, সেসময় তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি যা বিশ্বাস করো, তাই বলবে।’
তিনি আরো জানান; এদিকে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। রেসকোর্স ময়দানের মঞ্চে সকাল থেকেই গণসঙ্গীত চলছিল। সেদিন শেখ মুজিব সেই মঞ্চে একাই ভাষণ দিয়েছিলেন। এই একটি ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন।
জনসভায় ছিলেন এমন অনেকের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়- সেদিন সকাল থেকে লাঠি, ফেস্টুন হাতে লাখ লাখ মানুষ উত্তপ্ত শ্লোগানে মুখরিত থাকলেও শেখ মুজিবের ভাষণের সময় সেখানে ছিল পিনপতন নিরবতা। ভাষণ শেষে আবারও স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান মুখর হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাস্তাগুলো।
সূত্রঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ