নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন; ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক ও অবিচ্ছেদ্য বিষয়। বঙ্গবন্ধু যেমন ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন তেমনি তিনি বাঙালি জাতির জন্য চির আরাধ্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এক সংগ্রামী ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে আজ বাঙালি জাতি এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর চির অবিনাশী চেতনা অম্লান হয়ে আছে বাঙালি জাতির চেতনায়। তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ আজ প্রামাণ্য বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। ঐ ভাষণের অন্তর্নিহিত ভাষা বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় স্বাধীনতার শেষ সোপানের দিকে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর বাঙালি অর্জন করে স্বাধীনতা। দীর্ঘ এই মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির আলোকবর্তিকা।’
সোমবার সকাল ১০টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে বঙ্গবন্ধুর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি র বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা বিভাগের অবসারপ্রাপ্ত প্রফেসর চৌধুরী জুলফিকার মতিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মোঃ জাকারিয়া।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এদিন সকাল ৯:১৫ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন চত্বর থেকে র্যালী নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন; উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. অবাইদুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর প্রফেসর মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক, প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ প্রমুখ।
সেখানে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করেন।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেল মডেল স্কুল আয়োজিত শিক্ষার্থীদের রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করেন।
এছাড়াও রাবি স্কুলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এবং রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।