বাগমারার দ্বীপপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সীমাহীন দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১

ট্রিবিউন ডেস্কঃ রাজশাহীর জেলার বাগমারা উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মকলেসুর রহমান দুলালের বিরুদ্ধে জাল কাগজে সরকারী বরাদ্দ আত্মসাৎ, ইউনিয়নের নারী সদস্যদের শ্লীলতাহানি, অবৈভধভাবে দিঘী খনন এবং ইটভাটা নির্মাণ ও গবাদি পশুর খামার করে পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নেরই দুজন নারী সদস্য। অভিযোগকারীরা হলেন দ্বীপপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোছাঃ হাসিনা বানু এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোছাঃ ফাতেমা খাতুন।

লিখিত অভিযোগে তারা জানান, মকলেসুর রহমান দুলাল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি সকল প্রকার অবৈধ কাজকর্ম ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন। প্যানেল নির্বাচিত না করে একক সিদ্ধান্তে ভূয়া প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে কাজ করেছেন। উন্নয়নমূলক কোনো কাজে ইউপি সদস্যদের ডাকেন না,কোনো নোটিশ করেন না। একক সিদ্ধান্তে রেজুলেশন ছাড়াই ভূয়া কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত নোট দেখিয়ে যাবতীয় কাজ করেন তিনি। গত চার বছর চার মাসে স্থানীয় সরকারের বরাদ্দ এডিপি, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, রাজস্ব, গৃহট্যাক্সসহ অন্যান্য যাবতীয় সরকারী অর্থ কাজ না করিয়ে আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান।

নারী ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, এসব অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও শ্লীলতাহানি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল। ভূয়া কাগজ তৈরী করে বার বার একই সদস্যদের পিআইসি তৈরী করে যাবতীয় অর্থ আত্মসাৎ করে বিলসুতী বিলে ৫০/৬০বিঘা দিঘী খনন করেছেন এবং বিলের চরে বিশাল গরু-ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও মহিষের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি।

দুলাল মীরপুর পার্টনার সিপে অবৈধভাবে ইট ভাটা নির্মাণ ও প্রায় ৫টি পুকুর খনন করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এসব বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই নারী সদস্যরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মকলেসুর রহমান দুলালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

পোস্টটি শেয়ার করুন