বাগমারায় কোরবানি পশুর চুরি ঠেকাতে গ্রাম পাহারায় নতুন বাহিনী

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২২

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় কোরবানি পশুর চুরি ঠেকাতে পুলিশের সহযোগী হিসেবে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে আনসার ও গ্রাম পুলিশ সমন্বয়ে নতুন পাহাড়াদার বাহিনী।

আসন্ন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে প্রতিটি পরিবারে এবং মৌসুমী খামারীদের খামারে গরু-ছাগল পালন করা হচ্ছে। কেউ কুরবানীর উদ্দেশ্যে কেউবা কুরবানীর উদ্দেশ্যে বিক্রি করার জন্য।

সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এলাকায় সংঘটিত সঙ্ঘবদ্ধ চোরের দল কুরবানীর পশু চুরি করতে নয়া নয়া কৌশল অবলম্বন করছে। এলাকায় প্রতিদিন চুরি হচ্ছে কোরবানির পশু।

পবিত্র ঈদ-উল আযহায় ভালো দামের আশায় অনেক পরিশ্রম করেন খামারীসহ গরু পালনকারী কৃষকরা। নিজের আপনারে থেকে পশু গুলোকে খাইয়ে লালন পালন করছে লোকজন। তাদের এই কষ্টে লালন পলন করা পশু গুলির চুরি ঠেকাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান।

খামারী ও গরু পালনকারী কৃষকদের গরু যাতে চুরি না হয় সে জন্য গ্রাম পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছে ৬ জন গ্রাম পুলিশ ও ১১ জন আনসার সদস্য। তারাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার আগ পর্যন্ত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার, মোড় বা বাজার এবং বিভিন্ন গ্রামে অবস্থান করবেন। পশু চুরি ঠেকাতে গ্রাম পাড়ায় গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যের বিনামূল্যে টর্চলাইট, বাঁশি এবং একটি করে লাঠি দিয়েছেন চেয়ারম্যান ।

এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকের শেষ সম্বল গরু চুরি হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কোন ভাবেই চুরির সূত্র বের করতে পারছেনা প্রশাসন সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। পবিত্র ঈদ-উল আযহা আসলেই গরু চুরি বেড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভাতেও আলোচনা করা হয়ে থাকে।

বাসুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, কৃষক এবং খামারীরা অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে গরু-ছাগল পালন করে থাকেন। স্বপ্নের সেই পশু যেন চুরি না হয় সে লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ মোড় সহ বিভিন্ন গ্রামে চুরি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা অবস্থান করার কারনে রক্ষা পাবে গরু-ছাগলের মালিকরা। এতে করে উপকৃত হবেন ইউনিয়নবাসী।

এ বিষয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ঈদ আসলেই প্রতিটি এলাকায় কুরবানীর জন্য পালন করা পশু চুরি বেড়ে যায়। চুরি ঠেডকাতে প্রতিরাতে থানা পুলিশের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের সদস্য সংখ্যা কত না থাকায় একার পক্ষে তাদের সুবিধা কেন সম্ভব নয়।আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি এলাকার লোকজন সতর্ক থাকলে চুরি রোধ করা সম্ভব।

পোস্টটি শেয়ার করুন