ট্রিবিউন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, স্কুল পর্যায়ে কিশোর শিক্ষার্থীদের মনে বিজ্ঞানের চেতনা জাগ্রত করার জন্য এসব অলিম্পিয়াড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে যুগের পর যুগ বিজ্ঞানের যে অবদান, তা অনস্বীকার্য। অসাম্প্রদায়িক চেতনা উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বিজ্ঞানের চর্চা অবশ্যই প্রয়োজন। আমরা চারপাশে তাকিয়ে প্রয়োজনীয় যা কিছু দেখছি, তা সব বিজ্ঞানেরই অবদান। এই বিজ্ঞানই পরে একটি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করতে। আবার এই বিজ্ঞানের অপব্যবহারে ধ্বংস হতে পারে জাতির অস্তিত্ব। তাই সুস্থ বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে এমন অলিম্পিয়াডের ভূমিকা অনেক।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ‘রাজশাহী বিভাগীয় বিএএস-এফএসআইবিএল বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির আয়োজনে এই বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদ্বয় ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া ও অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল ইসলাম।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, বুয়েটের অধ্যাপক কায়কোবাদ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাফর ইকবালের হাত ধরে এ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের যাত্রা শুরু হয়। দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ হিসেবে গড়ের তোলার এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। এই বিজ্ঞানই পারে একটি জাতিকে এগিয়ে নিতে। তাই শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল- ইসলাম বলেন, প্রতিবছর যে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়, এগুলো আরো বেশি বেশি অনুষ্ঠিত হওয়া দরকার। জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ তৈরি একান্ত জরুরী। আমরা আজকে দেখতে পাচ্ছি বিজ্ঞান ছাড়া কোন পদক্ষেপ সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। আমরা উন্নয়নের যত দোরগোড়ায় এগিয়ে যাচ্ছি, ততো বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আমরা উন্নত জাতি গঠনে সবাই এগিয়ে আসবো।’
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বের আগে সকাল ৮ টায় শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন। রেজিস্ট্রেশন শেষ সকাল ৯ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধনী পর্ব শুরু করেন অতিথিরা।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে সকাল ১০টায় শুরু হয় পরীক্ষা। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে প্রশ্নোত্তর পর্ব। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার ২০০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯ম-১০ম শ্রেণী ক্যাটাগরিতে ১০০ জন ও ১১শ-১২শ ক্যাটাগরিতে ১০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বাদশা আলম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড’২২ এর সমন্বয়কারী ড. মো. আরিফুর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতিনিধি মো. সলিমুল্লাহ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. লিয়াকত আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।