রাজশাহী প্রতিনিধি :রাজশাহীতে বিয়ের পর দেনমোহরের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন তামান্না আক্তার ফেন্সি (৩১) নামের একটা নারী। তার বাড়ি নগরীর মেহেরচণ্ডী পূর্বপাড়ায়। সে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের মশক শাখার মাঠকর্মী।
অন্যদিকে বর মোস্তাফিজুর রহমান(৫৮)
নগরীর পদ্মা আবাসিকের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা,তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তারা প্রেমের সম্পর্কের’জের ধরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন।
২০ নভেম্বর রাতে নগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকার একটি কাজী অফিসে নগদ ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরদিন নগরীর এক হোটেলে তাদের বাসরঘর করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দেন মোহরের ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা বাসায় রেখে আসার কথা বলে কেটে পড়েন তামান্না। এর পরে বিয়ের চার দিন পর তার নিকট তালাকের নোটিশ পাঠান তামান্না।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর ২৯ নভেম্বর নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রী অসুস্থ। তাই তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভাবছিলেন। তামান্না আক্তারেরও বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় ১৪ বছর আগে। ১৩ বছর বয়সি তার একটি মেয়ে আছে।
এবিষয়ে,তামান্না আক্তার ফেন্সি বলেন, বিয়ের পরই আমাকে দুই কাঠা জমি দেওয়ার কথা ছিল। ওই জমিতে একটি ফ্ল্যাটবাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ারও কথা ছিল। আর আমার ভবিষ্যতের জন্য ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি ছিল। এসবের কিছুই দেননি মোস্তাফিজুর। তিনি আমাকে বাড়িও নিয়ে যাবেন না। আমার মেয়ের দায়িত্ব নেবেন না। তাই তার সঙ্গে আমার সংসার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন, নিকাহনামায় নগদ মোহরানার ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা বুঝে পেয়েছেন বলে তিনি স্বাক্ষর দিলেও বাস্তবে টাকা পাননি। কাজী অফিস থেকে বেরিয়ে মোস্তাফিজুর টাকা দেননি। তাকে ফাঁসাতে এই টাকার অভিযো করা হয়ছে।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ মতিয়ার রহমান বলেন, এটি আদালতের বিষয়। মোস্তাফিজুর আমাদের কাছে একটা অভিযোগ দিয়েছেন। আমি একজন এএসআইকে তদন্ত করতে দিয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার মতো হলেন নিবো।