

ট্রিবিউন ডেস্কঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন; নির্বাচনের বেশী দেরী নেই, তাই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত। সেজন্য অতীতের সকল দুঃখ বেদনা ভুলে গিয়ে এখনই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামী সকল নির্বাচনে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর কুমারপাড়াস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর দলীয় কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।
এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে করোনাকালীন অতিমারী মোকাবিলা করে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ও যখন নির্বাচন আসন্ন ঠিক তখনই বরাবরের মতো এই বাংলাদেশ বিরোধী শক্তিরা আবার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বিশ্বের অনেক দেশে করোনাকালীন সময়ে তাদের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে কিন্তু আমাদের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র গতিশীল নেতৃত্বে আমরা এই সংকটকে মোকাবিলা করেছি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা সচল হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতু ব্যবহরের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, অচিরেই দেশবাসী এর সুফল ভোগ করবে। অথচ এই পদ্মা সেতু নিয়ে তারা ঘৃন্য রাজনীতি করেছিলো, তারা বলেছিল জোড়াতালি দিয়ে সেতু নির্মাণ হচ্ছে, এই সেতু চলাচলের জন্য নিরাপদ নয়, তাদের প্রতি বিনয়ের সহিত জিঙ্গাসা, আপনারা কি এই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করবেন না? বিদেশে বসে তারেক রহমান দেশ ধ্বংসের নানান ষড়যন্ত্রে করছে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা বেঁচে থাকতে তার এই হীন ষড়যন্ত্র কখনই সফল হবে না।
তিনি আরো বলেন, দেশে নতুন করে এক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, আর তা হলো বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি শ্রীলংকার দিকে ধাবিত হচ্ছে, যারা এই দিবা স্বপ্ন দেখছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ অর্থনীতি শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ কখনই কারো কাছে পদানত হয় নি, পরাজয় স্বীকার করে নেই নি, বাংলাদেশ স্বমহিমায় বিশ্ব দরবারে তার মর্যাদা সমুন্নত রেখে এগিয়ে যাচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, আগামীতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র মনোনিত প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের কোন বিকল্প নেই।
মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, আমরা অতি দ্রুত সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন অপশক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয় ধরে রাখতে না পারলে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সকল উন্নয়ন মুখ থুবরে পড়বে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়বে। তাই আগামী নির্বাচনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সরকার গঠনের মধ্যে দিয়ে উন্নতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলাউদ্দিন শেখ ভুলু, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, ধর্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, শাহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, এ্যাড. শামীমা আক্তার খাতুন, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, কে এম জুয়েল জামান, শ্রী আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা লীগ সভাপতি সালাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, নগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনার, সদস্য সচিব মোকশেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।