বিক্ষুব্ধ রাবি শিক্ষার্থীদের সহমর্মিতা জানাতে গভীর রাতেই ছুটে গেলেন রাসিক মেয়র লিটন
ট্রিবিউন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হবিবুর রহমান হলের সামনে ট্রাক চাপায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী হিমেল নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শুর হয় বিক্ষোভ। ছেলে ও মেয়েদের হলের শত শত শিক্ষার্থী ভিসির বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করতে থাকেন। রাত বাড়ার সাথে শিক্ষার্থী যেমন বাড়তে থাকে তেমনি এত ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও অনুপ্রবেশকারীদের নিয়েও উৎকন্ঠায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রাত পৌনে একটায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সহমর্মিতা জানাতে ছুটে যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং একমত পোষণ করে তা পূরণে তাদের আশ্বস্ত করেন। হিমেলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে তিনিও অন্য শিক্ষার্থীদের মতোই সমব্যথী বলে জানান।
এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে রাতের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। তবে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতারা বুধবার সকাল ১০টায় আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মোঃ জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর সুলতান উল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ।