ভবিষ্যতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চাই না: বিজিবি মহাপরিচালক

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২২

ট্রিবিউন ডেস্ক: পাহাড়ে স্পেশাল অপারেশন ও ডিজিএফআই সদস্য নিহতের ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, সময় স্বল্পতার কারণে বা ঘটনার আকস্মিকতার কারণে অনেক তথ্য শেয়ার করা সম্ভব হয় না। যে কারণে একজন ডিজিএফআই সদস্যকে আমরা হারিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার ওই সদস্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আমাদের ভূখণ্ডের ভেতরে ঘটেছে। তদন্ত হচ্ছে। আমরা চাই ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর মধ্যে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতোতে গত ২৪ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৮ম সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এই সংবাদ সম্মেলনে নিহত গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক এ কথা বলেন।

সীমান্তে ডিজিএফআইয়ের এক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আর বিজিবি-বিজিপি বিচ্ছিন্নতাবাদী কিন্তু কেনো এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিজি বলেন, তাদের ভূখণ্ডে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা কার্যক্রম চলছে।

দুই দেশের বর্ডার বা এর নিকটতম জায়গায় ঘটনাকে ঘটছে। কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী যেন তাদের ও আমাদের ভূখণ্ডে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করব।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের অবস্থান বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি। কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্থান, অবস্থান নিতে আমরা দেব না। রিয়েল টাইম তথ্য আদান-প্রদান করতে পারলেই কেবল যৌথ অভিযান সম্ভব।

সীমান্তে স্থলমাইন রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থলমাইন বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হতাহতের শিকার হয়েছেন। তাদের (মিয়ানমারের) নাগরিকও হতাহতের শিকার হয়েছেন। সীমান্তে কাঁটাতারে ইলেকট্রিফিকেশন করা হয়েছে। ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ অন্যান্য মাদক ও মানব পাচাররোধে বিজিবির সফলতার বিষয়ে তিনি বলেন, মাদক চোরাচালানে বিজিবি অনেকটাই সফল। তবে এখনো শতভাগ সফল হতে পারেনি।

পোস্টটি শেয়ার করুন