

৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহের রঙ নীল ছিল। আস্তে আস্তে সেটি লাল হয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণা শেষে এমনটাই দাবি করছেন। একই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের স্পন্দনের ইঙ্গিত পেয়েছেন। তারা মঙ্গলে নাইট্রোজেন বা জৈবিক পদার্থ (কার্বনেট কম্পাউন্ড) পেয়েছেন ৷
জাপানের একদল বিজ্ঞানী মঙ্গলের উল্কাপিন্ডে এমন এক জৈবিক পদার্থ পেয়েছেন যাতে নাইট্রোজেনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এই বিশেষজ্ঞদের দলে রয়েছেন টোকিও ইন্ডাসট্রিজ অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী আন্সুকো কোবায়াশী ও জাপানি এরোস্পেস এক্সপোরেশন এজেন্সির ইনস্টিটিউট অব স্পেস অ্যান্ড অ্যাস্টোনটিক্যাল সায়েন্সের বিজ্ঞানী মিজুহো কোএকে৷
তাদের গবেষণায় জানা গেছে, মঙ্গলে পাওয়া এই জৈব পদার্থ প্রায় ৪০০ কোটি বছর পুরনো৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলের মাটির ভেতরে জৈবিক পদার্থ পানির সংমিশ্রণে থাকতে পারে৷ ফলে সেই সময়ে মঙ্গলে প্রাণের স্পন্দনের এক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে৷
বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে একটি উল্কাপিন্ড আন্টার্কটিকায় পড়েছিল সেটিকে হিল্স এএলএইচ ৮৪০০১ (ALH 84001) নাম দেওয়া হয়েছিল৷ এই উল্কাপিন্ড ১৯৮৪ সালে বৈজ্ঞানিকেরা পেয়েছিলেন৷ তারপরে একাধিক সমীক্ষায় উঠেছে
এমন সব তথ্য যে মঙ্গলের রং আগে হয়ত নীল ছিল যা এখন লাল হয়েছে৷