

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর চকপাড়া এলাকার হায়দার আলী (৪০) নামের এক জেলে কে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পদ্মার চরে অপহরণ করে ৭ লাখ টাকা পরিবারের কাছে মুক্তিপন দাবি করছে ভারতের মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
শনিবার সকালে চারঘাট আমবাগান পদ্মার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহরনের শিকার জেলে হায়দার আলী (৪০) চারঘাট উপজেলার চকপাড়া এলাকার মৃত রহিমের ছেলে। এ ঘটনায় অপহৃত জেলের স্ত্রী ফিরোজা বেগম চারঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, চারঘাট চকপাড়া গ্রামের মৃত রহিমের ছেলে হায়দার আলী (৪০) ও মৃত তহিরের ছেলে ইন্দা (৩৯) শনিবার সকালে চারঘাট আমবাগান পদ্মার চর এলাকায় মাছ মারতে যায়। এসময় ভারতের ফেনসিডিল সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য বিজল ও তার লোকজন ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে জেলেদের উদ্দেশ্য করে। এসময় চকপাড়ার তহিরের ছেলে ইন্দ পালিয়ে চলে আসে ও চকপাড়া মৃত রহিমের ছেলে হায়দার আলীকে ধরে ফেলে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা। পরে ভারতের মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা হায়দারের মোবাইল থেকে তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমের মোবাইলে টেলিফোন করে মাদক কারবারিরা জানায়, হায়দার কে তারা আমবাগান চরে আটকে রেখেছে। ৭ লাখ টাকা দিলে হায়দারকে ছেড়ে দেয়া হবে। বিষয়টি হায়দারের স্ত্রী তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানায় ও সকাল ১১ টার দিকে চারঘাট থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অপহৃত জেলে হায়দারের স্ত্রী জানান, গত ১ মাস আগে ভারতের মাদক ব্যবসায়ী বিজলের ৯০০ পিচ ফেনসিডিল চকমুক্তার পুর এলাকার লাবানের ছেলে লালন, আক্কাসের ছেলে দুলাল, চকমুক্তারপুর সরকারপাড়া রাজ্জাকের ছেলে সোহাগ, চক মুক্তারপুর আজিজুলের ছেলে সাগর, আমজেদ কালুর ছেলে মামুজ, ইউসুবপুরের বানিপ ছিনতাই করে নিয়ে আসে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে পদ্মা নদীতে আমবাগান চরের কাছে মাছ মারতে গেলে হায়দারকে আটকে ফেলে ও ইন্দ পালিয়ে চলে আসে।
তিনি আরো জানান, হায়দারের মোবাইল থেকে আমাকে ফোন করে বলে ৭ লাখ টাকা দিলে হায়দারকে ছেড়ে দেয়া হবে।
এ বিষয় চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এমন কোন বিষয় থানায় অভিযোগ হয়নি। এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই আমার।