রম্য বচন “রাবি নিয়ে তদন্ত”

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০

ইব্রাহিম হোসেন মুনঃ বোধ হয় ইজ্জত থাকেনা ! নেতার চাইতে ক্যাডার বড় ।
তার চাইতে চামচা বড় !

একদিন চামচা ক্যাডারকে বলে ভাই, পাড়ার মাষ্টার তোমাকে খারাপ বলে..
তাই নাকি ফোন কর ।
ফোন লাগিয়ে দেয় চামচা।

এবার ক্যাডার মাষ্টারকে ফোনে বলে, মাষ্টার তুই নাকি আমাকে খারাপ বলিস? তুই লেখে নেয় কাল সকাল ১০ টায় তোর হাত-পা কেটে নিবো।’
মাষ্টার ভয়ে কাঁদতে লাগলেন ।
স্ত্রী জিজ্ঞাসা করছেন, কি হলো তুমি কান্না করছো কেন?
‘এই মাত্র পাড়ার ক্যাডার ফোন বললো কাল সকাল ১০ টায় আমার হাতপা কেটে নিবে’
এবার স্ত্রী হেঁসে দিলো। স্বামী বলে হাঁসছো কেন??
স্ত্রী বলে, ক্যাডারের ভয়ে কান্না করছো,তো নেতাদের বলো সমাধান করে দিবে।
তাই নাকি? তুমি ভুলে গেলে, আমাদের লিচু গাছে চোর উঠেছিল এবং কি দেখেছিলাম?
এবার আপনারা শুনুন.. মাষ্টার দেখলো ,তার সাধের গাছে চোর উঠেছে,একটি ছেলে লিচু পাড়ে।

মাষ্টার বললো, এই ছেলে নেমে আয়, তুই চুরি
করছিস তোর বাবাকে বলে দিবো ।
এবার বাচ্চাটা হাঁসে, মাষ্টার বলে হাসছিস কেন?
ছেলেটা বলে,’ স্যার কাকে অভিযোগ দিবেন, আমার বাবাকে? ঐ যে দেখেন গাছের আরেক ডালে আমার বাবাও আছে।’

বুদ্ধিমান স্ত্রী এবার বুঝে গিয়ে চুপ। মনে মনে ভাবে বিচার দিবো কারে উপায় না পেয়ে দু’জনে বসে কান্নাকাটি করে আর আল্লাহ্ পাকের দরবারে বিচার চায়।

এর ঘন্টা খানেক পর বাড়ির পাশ দিয়ে এ্যাম্বুেলন্স যেতে দেখে মাষ্টার মশাই নিচে নামে, জানতে চাইলেন কার কি হলো? হঠাৎ এ্যাম্বুেলন্স?
লোকজন জানায় পাড়ার ক্যাডারের পা ভেঙে গেছে। কিন্তু কিভাবে ?
বাথরুমে সাবান দ্বারা পা পিচলে চিতপাটাং! মাষ্টার মশাই ,
‘ও তাই!!’

বোধহয় ইজ্জত থাকেনা!ওদিকে লিচু চোর বাপ বেটা গাছ থেকে নামলে পাড়া প্রতিবেশী মেরে গেঞ্জী সার্ট খুলে ফেলেছে।
মাষ্টার মহোদয় তাদের জীবন বাঁচাতে অন্ধকারে এবং নিরাপদে কষ্টে সেখান থেকে নিয়ে যায়,কিন্তু বাপ-বেটা ভাবে.. আর বুঝি ইজ্জত থাকে না, মাস্টার প্যান্ট না এবার খুলে ফেলে।বোধহয় ইজ্জত থাকেনা!!

দুর্নীতি বিরাধী ভুয়া অভিযোগ নিয়ে চামচা সেজে ক্যাডার দিয়ে উপাচার্য মহোদয়ের হাত-পা কাঁটার চক্রান্ত করতে গিয়ে নিজেদের সব না ধরা পড়ে।

সাধু সাবধান!চিন্তায় বিভোর প্যান্ট না এবার খুলে ফেলে!

বি.দ্রঃ-
১। উপাচার্য নিয়োগ পান রাষ্ট্রপতি কর্তৃক । তিনি চলেন বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ইউজিসির কর্তৃক আইন দ্বারা নয় ।

২ । ইউিজিসর তদন্ত টিম কর্তৃক মাননীয় উপাচার্য মহোদয়কে ডাকার এখিতয়ার নাই।

৩। যেহেতু মাননীয় উপাচার্য মহোদয় দুর্নীতির বিপক্ষে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এই নিয়ে কাজ করেত গিয়ে নিজেও ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগ খেয়েছেন। এই নিয়ে যে তদন্ত কমিটি হয়েছে কমিটিকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।

সুতরাং আমরা মনে করি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ইউজিসির তদন্ত টিমকে ঘটনা স্থলে এসে তদন্ত করতে আহ্বান জানায়।
সেই সঙ্গে ইতিপূর্বে সাবেক প্রশাসনের বড় বড় দুর্নীতির তদন্ত চাই

লেখকঃ
ইব্রাহিম হোসেন মুন
সাবেক সভাপতি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
ও পিএইচডি গবেষক, রাবি।

পোস্টটি শেয়ার করুন