রহনপুরের কিঞ্চিৎ স্বপ্ন-দর্শন এবং নৌকার প্রার্থী ও দেশরত্নের অনুঃনির্দেশ…

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১:০৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

হাসান রশিদুজ্জামান বিপ্লব:আমাদের আবেগের,জন্মের,মানসপটের,প্রেমের,
স্কুল-কলেজের ও ছেলেবেলার রহনপুর!রহনপুরে যারা বাস করে,যারা অতীতে উপজেলায় চাকরির জন্য অবস্থান করেছে,যারা এখন চাকরি করছে।যারা কলেজে পড়ার জন্য হোস্টেলে-মেসে থেকেছে,এখন যারা থাকে।

এছাড়াও যারা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ,যেমন বাণিজ্যের উদ্দেশ্য,যারা অবস্থানগত ভাবে এবং স্মৃতিতে রহনপুরকে ভালোবাসে তাদের কাছে রহনপুর ‘স্বর্গ ছেড়া’ তিলোত্তমা!রহনপুর কারো কাছে শহর,কারো কাছে গ্রাম।আবার বলা যায় যে,দু’টো সিনেমা হলের টাউন বরেন্দ্রভূমির নগরী।আসলে ‘টাউন’!অথবা বলা যেতে পারে ‘গ্রাম-নগরী।’

সাপের মত পূণর্ভবা নদী!মহানন্দায় পড়েছে।সেই পূণর্ভবা বাংলাদেশ -ভারত-বাংলাদেশে যার সদর্প বিচরণ।পবিত্র মহানন্দা -পদ্মাকে যে সমুদ্রকান্তা জল দ্যায়!
একটু বড় স্যালোমেশিনে চালিত টোপর দেয়া নৌকোকেই আমরা ছেলেবেলায় জাহাজ বলতাম।নদীর ধারে বড় বড় ঢেউ আমাদের খুব আন্দোলিত করত__তাই আমরা নৌকাকেই বলতাম জাহাজ।

বেলি ব্রিজ!লাল রেল সেতু!
এবি স্কুল_ ১৯৪২!আফতাবউদ্দীন কলা ভবন!
রাবেয়া গার্লস!আমাদের তারুণ্যের মনোযোগ!

একটা গম্বুজ__কেন,কারা নির্মাণ করেছে এবং কিসের,কি কাজে সে স্থাপনা তা তর্কসাপেক্ষ!আছে ষাড়বুরুজ নামের একটা ঢিবি!যার ইতিহাসের সঠিকতা নিশ্চিতরকম নিরূপিত হয় নাই।আমাদের প্রিয় ষাড়বুরুজ।
রহনপুরের তুলনা রহনপুর!হয়তো রহনপুরই বরেন্দ্রভূমির অন্যতম আদিম গঞ্জ।

রহনপুর পৌরসভায় ক’দিন পরেই ভোট-উৎসব।ভোটের একটা আবহ,কে জিতবে,কে হারবে এবং কোন দল জিতবে হারবে,জিতলে কেন জিতবে?হারলেও কেন হারবে?এই সবের নানরকম হিসেব নিকেশ!জল্পনা-কল্পনা!ভোটযজ্ঞ।
যখন তখন শ্লোগান, ঝটিকা মিছিল ভোটের আনন্দ। পক্ষ-বিপক্ষ-প্রতিপক্ষ অথবা কারো কারো জন্য ভোট,তাতে ‘হামার’ কি!

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী,ধানের শীষের প্রার্থী এবং যে কেউ চাইলে অন্যকোন দলের হয়ে,কিংবা কেউ স্বতন্ত্রও নির্বাচনে অংশগ্রহণের/প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ রাখেন।

ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন পলিটিক্যাল এ্যাকটিভিস্ট!আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্র সেবাদাস!এবং আমার প্রতীকের নাম নৌকা!
আমাকে আমার দায়িত্বের কথা বলতে হবে।আমার পার্টির নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং গণমানুষের দুয়ারে-আড্ডায় বঙ্গবন্ধুর কথা,জননেত্রীর কথা এবং নৌকার কথা বলে যেতে হবে আমার জাগরণের সবটুকু সময়েই_এটা
নৈতিক ভাবেই আমার কাছে দলের পাওনা।

যায় হোক,এখন রহনপুর পৌরসভার নৌকার ভোট ও প্রার্থীতার সারসংক্ষেপে আসি।যে কথা বলার জন্যই উপরোক্ত সব কথার অবতারণা___

সর্বমোট ৮ জন রাজনৈতিক নেতৃত্ব রহনপুর পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীতার দৌড়ে ছিলেন।সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রাণভোমরা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা রহনপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক,সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী বিশ্বাসকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিয়েছেন।

সকল পৌরসভার জন্যই প্রযোজ্য আদেশ যে,নেত্রী যাঁকে নৌকা দিয়েছেন তিনি কোন ব্যক্তিবিশেষের নয়,নেত্রীর প্রার্থী,দলের প্রার্থী।সুতরাং নৌকাকে বিজয়ী করতেই হবে।সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

সেই হিসেবে এটা পরিস্কার যে,রহনপুর পৌরসভায়ও বাকি ৭ জন প্রার্থীকেই জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকার স্বপক্ষে কাজ করবার জন্য,দেশরত্ন শেখ হাসিনার মর্যাদা সুনিশ্চিত করবার প্রয়াসে মাঠে কাজ করবার অনুঃনির্দেশ দিয়েছেন।নেত্রী এটাও জানেন যে,৭ জনের প্রত্যেকজনই নিজ নিজ জায়গা থেকে যোগ্য এবং কর্মগুণে দাবিদার!
কিন্তু উনার হাত বাঁধা।একজনকেই দিতে হবে!
অতএব নৌকা একক কোন প্রার্থীর নয়।দলের,বঙ্গবন্ধুর এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার!

আওয়ামীলীগ পরিবারের সবারই শেখ হাসিনার মর্যাদা সমুন্নত রাখবার একটা অলিখিত অঙ্গীকার আছে।যেটা দেখা যায় না,বুকের স্পন্দনে অনুভূত হয়।

রহনপুরের ভোট,উন্নয়নের হোক।
রহনপুরের ভোট,শেখ হাসিনার হোক।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু,
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক:
হাসান রশিদুজ্জামান বিপ্লব
সদস্য
চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ।

পোস্টটি শেয়ার করুন