

বিশেষ প্রতিনিধি:পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছা শক্তি, একাগ্রতা, প্রতিভা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার আসন্ন রহনপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী, সৎ নির্বিক, রহনপুরের রাজনীতির নক্ষত্র পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান খাঁন মতি। পৌরবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।
রহনপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন লোকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, রহনপুর পৌরসভার মেয়র পদে তিনিই অন্যতম যোগ্য প্রার্থী। এছাড়াও মেয়র পদে নির্বাচন করতে সামাজিক ঐতিহ্য যা প্রয়োজন তার সব কিছুই বিদ্যমান রয়েছে। পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, আদর্শিক, সৎ ও নিবেদিত প্রাণ হিসেবে পৌরবাসীর মধ্যে তার একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
মতিউর রহমান খাঁন ১৫ জুলাই ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। রহনপুর পৌরসভার মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার মৃত মোসাহাক হোসেন খাঁন ও মনোয়ারা খানমের বড় ছেলে। শিক্ষা জীবন থেকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।বর্তমানে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজে বেশ সক্রিয়। পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়নেও কাজ করেছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী মতিউর রহমান খাঁন জানান,রহনপুর পৌরসভাকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও আধুনিক পৌরসভায় পরিণত করতে বদ্ধ পরিকর।পৌরসভার সাধারন মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তন কাজ করবেন। প্রতিদিন পাড়া মহল্লায় তার গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। তিনি প্রথমে ১৯৯৫ থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, সদস্য সচিব, বন্যা ও পূনর্বাসন মনিটরিং কমিটি, রহনপুর পৌর আওয়ামীলীগ ১৯৯৮ সাল। ১৯৯৯ সালে রহনপুর পৌর আওয়ামী যুবলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও রহনপুর পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়ক।
২০০০ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব ও ২০১০ সালে রহনপুর পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব।
২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত ভোলাহাট উপজেলার দলীয় প্রার্থীর প্রতিনিধি ও রহনপুর পৌরসভা উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব, ২০১৯ সাল জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০২০ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব। ১৯৯৬ সালে কৃষকের ন্যায্য দাবী আদায় করতে গিয়ে পিতাসহ ১৯ দিন কারাবাস করি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আমার নেতৃত্বে রহনপুর-এ যুবলীগের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করি। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর মুক্তির দাবীতে অনশন ধর্মঘট করি।
বর্তমানে পরপর ৩ বার রহনপুর আম আড়ৎদার সমবায় সমিতি লিঃ এর সম্পাদক ও প্রসাদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ রহনপুর ক্রীড়া চক্র এর সভাপতি। এবং গোমস্তাপুর উপজেলা শাখার মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি, সদস্য সচিব রয়েছি।
করোনাকালীন সময়ে ঘরবন্দি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দল মত নির্বিশেষে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। নিজের চিন্তা না করে চিন্তা করেছিলেন রহনপুর পৌরবাসীর জন্য। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মতবিনিময় সভাও করেছেন।
পৌরবাসীর সাধারণ মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াসে সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি সমাজ সেবক হয়ে পৌরসভার আলোকিত মুখ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা মার্কার মনোনয়ন দেয়া হলে পৌরবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।