ট্রিবিউন ডেস্কঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. হায়দার আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার।
বুধবার তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন; প্রগতিশীল চিন্তা চেতনার অধিকারী এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে জাতি হারালো আর এক সূর্য সন্তানকে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোঃ হায়দার আলী শহরের নিশিন্দারা উপ-শহর এলাকায় নিজ বাড়িতে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ তিনি স্ট্রোক করেন। এরপর দ্রুত তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নিশিন্দারা উপ-শহর এলাকায় তার বাড়ির পেছনে মাঠে তার শ্বশুরের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, মো. হায়দার আলী ১৯৪২ সালে বগুড়া শহরের নিশিন্দারায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৬২’র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের সংগ্রামী। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি বীরোচিত ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি রাকসু নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন ও মুক্তিযুদ্ধোত্তর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
পরবর্তী জীবনে তিনি বগুড়ার নিশিন্দারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি নিজ এলাকায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায়ও উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করেন।