নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা মুলক অভিযোগ তুলে অপপ্রচারের অভিযোগ করেন তিনি। গত মঙ্গলবার কিছু গণমাধ্যম তাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে বলে দাবি করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি।
মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পিএ হতে না চাওয়ায় রাতভর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুন্নবী হোস্টেলে রুমে পুঠিয়া শিবপুরহাট গ্রামের আলমগীরের ছেলে মিলন হোসেন নামে যে যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এটি একটি অবান্তর, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও প্রতিহিংসা মুলক। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। রুমে আটকে তাকে নির্যাতন করার যে অভিযোগ তুলেছে তা হাস্যকর বিষয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কোন পিএ লাগে না। এমন তথ্য একদম বানোয়াট। মিলনকে পুঠিয়া ছাত্রলীগের কিছু ছেলে জাকির হোসেন অমির সাথে পরিচয় করে দিতে নিয়ে আসে। কাজটাজ করবে বলে সে। রাতে ছিল রুমে। সকালে সাধারণ সম্পাদকের ঘুম থেকে ওঠার আগেই এক ছাত্রলীগ নেতার বালিশের নিচে ৫০ হাজার টাকা ছিল সে চুরি করে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকে ডেকে পাঠায়। মিলনকে সম্পাদকের কাছে আনার পরে উপস্থিত কিছু ছেলে পেলে, চড়-থাপ্পড় দিয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, এসব আর না করার জন্য। তাকে ছোট ভাই হিসাবে শাসন করেন জাকির হোসেন অমি।
এ বিষয় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি বলেন, আমি তো এমপি, বা মন্ত্রী না, যে আমার পিএ নিয়োগ দিতে হবে। মিলন কে রুমের কাজ করার জন্য এনে ছিলো। এক রাত রুমে ছিলো সে। সকালে রুমের এক ছেলের ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ বিষয় তাকে ডেকে ছিলাম। সে স্বীকার করেছে যে টাকা সে চুরি করেছে। এর পরে উপস্থিত ছেলে পেলে চড় ও থাপ্পড় দেই।
তিনি আরো বলেন, এমন অভিযোগ হাস্যকর। একটি চক্র রাজনৈতিক ভাবে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে এ টা নিয়ে অপপ্রচার করছে। গনমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ করানো হয়েছে। এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এসবের সাথে যারা জড়িতো তাদের দ্রুত সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।